মোহাম্মদ জুবাইর :
বাল্কহেড ভাড়ায় এনে আত্মসাত করার অভিযোগে ড্রেজার ও বাল্কহেড ব্যবসায়ী বোয়ালখালীর মৃত শফিউল আলমের ছেলে মনসুর আলম পাপ্পির বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত৷
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিট্রেট কাজী শরিফুল ইসলাম দন্ডবিধি ৪০৬/৪২০/৫০৬ ধারায় গতকাল ২৯ আগস্ট এই গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।
আদালতে জনৈক ক্যাপ্টেন কেএস হাফিজুর রহমানের ড্রেজার, বাল্কহেড ভাড়ায় এনে আত্মসাত করার অভিযোগের তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেয় বাকলিয়া থানা৷ সেই প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আদালত ক্যাপ্টেন কেএস হাফিজুর রহমানের সকল মালামাল তার জিম্মায় বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ প্রদানের পাশাপাশি অভিযুক্ত নামরিন এন্ড ব্রাদার্সের মালিক মনসুর আলম পাপ্পীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোনায়া জারী করেন৷
ভূক্তভোগী ক্যাপ্টেন কেএস হাফিজুর রহমান অবিলম্বে পাপ্পীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে বলেন, পাপ্পী সাহেব স্থানীয় এমপি থেকে শুরু করে নানান মন্ত্রী মিনিস্টারের নাম নিয়ে প্রভাব বিস্তার করতো৷ তিনি দম্ভোক্তি করে বলতো ড্রেজার গুলো সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেনের ছেলে রুহেল সাহেবের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে কারো বাপের সাধ্যনাই সে গুলো নিবে৷ আবার অনেক সময় তথ্যমন্তী হাসান মাহমুদের ছোট ভাইকে তার পার্টনার উল্লেখ করে হুমকি ধমকি দিতো৷
জানা গেছে, বোয়ালখালী পাপ্পী-ববি সিন্ডিকেট এভাবে অনেকের ড্রেজার, বল্কহেড আত্মসাত করেছে৷ ববির বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখল করে বাগান বাড়ী, গ্যাস স্টেশন নির্মানের অভিযোগ তুলেছেন খোদ তারই ভাই মনসুর পাপ্পী৷ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যে এই দুই ভাইয়ের নানান অপকর্মের বিষয়ে অবগত।