আশুলিয়া প্রতিনিধি :
আশুলিয়ায় যুবলীগ নেতার দেওয়া অবৈধ গ্যাস সংযোগ থেকে লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে একই পরিবারের তিন জন দগ্ধ হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যায়। এ ঘটনায় বুধবার গভীর রাতে যুবলীগ নেতা কুসম মোল্লা ও তার ভাই হুমায়ুন মোল্লা, ইউপি সদস্য জাকির, কেয়ারটেকার ও বাড়ির মালিকসহ ৭জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
কুসুম মোল্লা আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য। যুবলীগের থানা কমিটির পর থেকেই সে এলাকায় গ্যাস সংযোগ থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসাও পরিচালনা করেন। তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একাধিক মামলা রায়েছে।
নিহতের মামা আজিজুল ইসলাম জানায়, গত ৪ জুলাই ভোরে আশুলিয়ার দূর্গাপুর পূর্বচালা এলাকায় মো. সামছুদ্দিনের মালিকানাধীন ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ওই কক্ষের ভাড়াটিয়া গার্মেন্ট শ্রমিক আবুল কাশেম, তার স্ত্রী ফাতেমা ও ছয় বছরের শিশু সন্তান আল-আমিন দগ্ধ হয়। পরে ৫ জুলাই রাতে সাভারের এনাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু আল-আমিন ও পরদিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আবুল কাশেমের মৃত্যু হয়। সবশেষ গত ৭ জুলাই ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফাতেমাও মারা যায়।
এ ঘটনায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদানকারী ও বাড়ির মালিকসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল ইসলাম জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যুর ঘটনায় নিহত আবুল কাশেমের মামা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ প্রদানের অভিযোগে ইউপি সদস্য সহ সাত জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।