Doinik Bangla Khobor

ঢাকার আশুলিয়ায় মসজিদের ইমামকে ইউপি চেয়ারম্যানের হুমকি ; থানায় অভিযোগ

সাভার প্রতিনিধি:
সাভারের আশুলিয়ায় মসজিদের টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদ করায় ইমামকে হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবর, তার ভাই আশরাফ উদ্দিন মাদবর ও তার বোন জামাই মো. মজিবরের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও হুমকির অভিযোগ তুলে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মুফতি মাসউদ মোস্তফা।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আশুলিয়ার খেজুরবাগান চারাবাগ এলাকার ‘’মসজিদুন নূর’’ নামক মসজিদে গত ১৫ মাস ধরে তিনি কর্মরত রয়েছেন। মুসল্লিদের কাছে টাকার হিসাব চাওয়া ও কার্বন সম্বলিত রশিদ ব্যবহারের উদ্যোগ গ্রহণ করায় মসজিদ কমিটির উপদেষ্টা আশরাফ উদ্দিন মাদরব, তার ভাই আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবর ও বিবাদী মজিবর তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন। গত ২৮ জুন বিকেলে তার সাথে দেখা হলে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে যান আশরাফ উদ্দিন মাদবর। এছাড়া গত তিন মাসে মসজিদের ইমাম মাসউদ মোস্তফার বেতনও বকেয়া রয়েছে।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মাসউদ মোস্তফা জানান, ওয়ান টাইম রশিদের মাধ্যমে তার মসজিদে চাঁদা উত্তোলন হয়। কমিটির অর্থিক হিসাবের স্বচ্ছতা না থাকায় এই রশিদের পরিবর্তে কার্বন রশিদ ব্যবহার করে প্রতি সপ্তাহে মুসল্লিদের সামনে অর্থের হিসাব করতে বলেন তিনি। কিন্তু চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিনের ভাই আশরাফ মসজিদের অর্থ আত্মসাতের সাথে জড়িত থাকায় এমন উদ্যোগের প্রতিবাদ করে তাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবর ও তার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর অব্যাহত হুমকিতে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি শঙ্কিত।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চেয়ে আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবরের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।

অন্যদিকে তার ভাই আশরাফ উদ্দিন মাদবর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘মসজিদের উপদেষ্টা হিসেবে আছি, কমিটিতে সভাপতি ও সেক্রেটারী আছে। ইমাম মসজিদে চাকরি করে, ও-হিসাব চাওয়ার কে? হুজুর আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। সে একটা কাফের, সে নাস্তিক। ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে এগুলো প্রতিপক্ষের অপপ্রচার।’

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ বিন করিম বলেন, অভিযোগের কপি হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, তথ্য প্রযুক্তি, ধর্ষণসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। বিগদ দিনে তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের হলেও দলের পরিচয় ও ব্যক্তিগত প্রভাব ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ এগিয়ে থাকেন সাভার উপজেলার এই বিতর্কিত ইউপি চেয়ারম্যান।