মোঃ শাহাদৎ হোসেন :
ঢাকা জেলা কেরানীগঞ্জে কিছু প্রভাব শালির নেতৃত্বে চলছে বেশ কয়েকটি পুরাতন ব্যাটারী আগুনে জ্বালিয়ে সীসা তৈরী কারখানা। কারখানার মালিক দের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়।এরা সবাই প্রতিটি জেলা ও থানায় এসব অবৈধ সিসা কারখানা তৈরী করে গরু ছাগল ধান পাট গাছপালা ধব্বংস করে আসছে।আজ এখানে কাল আরেক থানা বা জেলায় ফাকা গ্রাম অঞ্চলে এদের বসবাস।সাধারন মানুষ বুঝে উঠার আগেই ওরা রাতের আধারে লোপাট হয়ে যায়। ৩০ শতাংশ ফাকা জায়গা জুরে টিনের ঘেরাও করে শুরু হয় ওদের কাজ কর্ম। সারা দিন পুরাতন ব্যাটারী দা হাতুরী ছুম্নি দিয়ে কেটে পিটিয়ে বের করা হয় ব্যাটারীর ভিতরের থাকা প্লেট। আর ব্যাটরীর ভিতরে থাকা এসিড এর পানি গুলো ঢেলে ফেলে দেওয়া হয়। হালকা বৃষ্টি হলে এসিডের পানি ছড়িয়ে পড়ে আশে পাশে পুকুর ডোবা ওপাশের আবাদী জমিতে । এসিডের বিশাক্ত পানি আশে পাশে পুকুর ও ধানের জমিতে ঢোকার কারনে মরে যায় পুকুরের সব মাছ পুরে যায় কৃষকের স্বপ্নের ধান ।সেই ধানের খৈর গবাদী পশু খেলে সঙে সঙে মারা যায়।সন্ধ্যা হলেই সাজানো হয় চুলার উপরে প্লেট গুলো আর রাত ১০ টা বেজে না উঠতেই শুরু হয় কার্যক্রম কয়লা দিয়ে জ্বালানো হয় আগুন।আগুন জ্বালাতে ব্যাবহার করা হয় বিদ্যুৎ বা জেনারেটর। চুলার কাজ শুরু হতে কাজ শেষ হয় ভোর ৪ টা পর্যন্ত। আগুন ধরানোর জন্য ব্যাবহার করা হয় হাওয়া ফ্যান। আগুন একটু ধরে উঠলেই আকাশে প্রায় ৩০০ ফুট উপরে উঠে আগুনে সীসা দাও দাও করে জ্বলে উঠে। নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় আর কাশি উঠে চোখ জ্বালাপোড়া করে ভিতরে যারা কাজ করে তাদের ও থাকা কষ্ট হয়ে যায়।আগুন এর সীসা ও ধুয়ো ছড়িয়ে পড়ে আশে পাশের গ্রামে । গবাদী পশু গরু ছাগল ও গাছপালার মাথা পড়ে যায়। বন্ধ করে দেওয়া হোক ব্যাঙের ছাতার মত ওঠা এসব জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস কারী অবৈধ সিসা কারখানা। এসব অবৈধ সীসা তৈরী কারখানা গুলো বন্ধ করতে ঢাকা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর এর সুদৃষ্টি কামনা করছি।