আশুলিয়া প্রতিনিধি :
ঢাকা আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নে ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আশুলিয়া থানা যুবদলের সভাপতি ও ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে যুবলীগ নেতার মা-বাবাসহ অন্তত ২০জন রক্তাক্ত ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলেও এজাহারে অভিযুক্তরা ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো অধরায় ধরাছোঁয়ার বাহিরে, এমতাবস্থায় প্রশাসনের ভূমিকা রহস্যজনক বলে দাবী করছেন বাদীপক্ষ,
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে শিমুলিয়া ইউনিয়নের মেশিনপাড় এলাকায় এঘটনা ঘটে। এ হামলার ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন আশুলিয়া থানা পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শিমুলিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম এবং থানা যুবদল এর সভাপতি আব্দুল হাই এর সাথে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি আমির হোসেন জয় এর চাচা আনসের আহম্মেদ এর ডিস ব্যবসা নিয়ে বেশ কয়েকমাস যাবত বিরোধ চলছিল। এনিয়ে থানায় মামলাও হয়েছে।
সম্প্রতি রাতের আধাঁরে একে অপরের ডিস ক্যাবল কেটে ফেলার অভিযোগ ওঠে।
ফলে ঘটনায় দিন সকালে রনস্থল গ্রামে উভয় পক্ষের মধ্যে এনিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এঘটনার কিছুক্ষণ পরেই জাহাঙ্গীর মেম্বার ও আশুলিয়া থানা যুবদল সভাপতি আব্দুল হাই এর নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কয়েক’শ লোক নিয়ে যুবলীগ সভাপতি আমির হোসেন জয়ের বাড়িতে হামলা চালায়।
এসময় যুবলীগ সভাপতি আমির হোসেন জয় সহ তাঁর পিতা হাজী আতাউর রহমান, মাতা জহেলা বেগম,শামসুল আলম (৪৮), সমন খাঁন(৪০),আনসের আহাম্মেদ (৫২),নূরুল ইসলাম (৫৩),কায়ূউম(২৮),নূর মুহাম্মদ (৩৮), তমছের(৬৫) সহ অন্ততপক্ষে ২০আহত হন।
রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান। এর মধ্যে জয়ের মা ও বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
এব্যাপারে যুবলীগ সভাপতি আমির হোসেন জয় বলেন, বিএনপি নেতা আব্দুল হাই ও জাহাঙ্গীর মেম্বারের নেতৃত্বে রণস্থল গ্রাম থেকে ৩শ লোক নিয়ে মেশিনপাড় গ্রামে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। তাঁরা আমার মা-বাবাসহ প্রায় ২০জনকে লোহার রড, লাঠিসোটা ও ধারালো দেশি অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এর আগে ডিস ব্যবসা নিয়ে তাদের সাথে ঝামেলা হওয়ায় আমি থানায় মামলা করি ওই মামলা থেকে জামিনে এসেই এহামলার ঘটনা ঘটায়।
এব্যাপারে অভিযুক্ত মেম্বার জাহাঙ্গীর বলেন, আমি জনপ্রতিনিধি তাই মারামারি থামাতে গিয়েছি যাতে সংঘর্ষ না বাড়ে আমার হাতে কোনো লাঠিসোটা ছিল না।মূলত ঝামেলা সামাল দিতেই আমি ওখানে গিয়েছিলাম।
শুলিয়া থানা ওসি (তদন্ত) মো. জিয়াউল ইসলাম জিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এখনো সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।