গত কয়েক দিন আগে বদলির আদেশ আসলেও কার স্বার্থে এস আই এমদাদুল হক এখনো আশুলিয়ায়
এম শাহীন আলম :
ঢাকা আশুলিয়া থানায় গত ৫-৬ বছরে তিনজন ওসির বদলি হলেও বদলি হয়নি এস আই এমদাদুল হকের, যার (বিপি নং ৮৭১৩১৫৮২৯৮),কে এই এসআই এমদাদ তার খুঁটির জোর কোথায়? তিন ওসি বদলি হলেও তিনি বহাল তবিয়তে রাজত্ব করছেন, জানা যায় গত কয়েক দিন আগে আশুলিয়া থানায় দুই এস আই এর বদলির আদেশ আসে এরেই মধ্যে এস আই সোহেল খন্দকার নামের একজন অন্যত্রে বদলি হয়ে চলে যায়, অথচ কোন অলৌকিক শক্তির কারণে কার স্বার্থে এখনো এস আই এমদাদুল হক আশুলিয়া থানায়, অনুসন্ধানে আশুলিয়া থানার গোপন বিশ্বস্হ সূত্রে জানা যায়, এস আই এমদাদুল হকের বদলির আদেশ আসলেও নাকি আশুলিয়া থানার ওসি কামরুজ্জামান তাকে ছাড়তে চাচ্ছে না,প্রশ্ন হলো এই আই এমদাদুল হক কে রাখতে ওসি কামরুজ্জামান এতো তৎপর কেন?
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, এই এস আই এমদাদুল হক গত পাঁচ বছরেরও অধিক সময় ধরে তিনি মানুষের মাঝে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে একটার পর একটা হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে রাজত্ব করেছেন আশুলিয়া থানায়, প্রশ্ন হলো এমদাদুল হকের মাসিক বেতন ভাতা কত? কিনেছেন দামি গাড়িও একটি গাড়ীর মাসিক ম্যান্টেনেস খরচের উৎস কি? বিশেষ সূত্রে জানা যায় এই এসআই এমদাদুল হক ইতি মধ্যে অঢেল টাকার মালিক বনে গিয়েছেন তা আশুলিয়া থানায় কোন পুলিশের জন্য এক ইতিহাস,চলছেন দাপটের সাথে, এরেই মধ্যে তার পারিবারিক বিষয়ে খোঁজখবর অব্যাহত রয়েছে যা পরবর্তীতে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, অন্যান্য এসআই ,এএসআইদের অফিস রুম এক সাথে পাশাপাশি থাকলেও তিনি থানার দ্বিতীয় তলায় বানিয়েছেন বিলাস বহুল থাই গ্লাসে মোড়ানো ব্যক্তিগত অফিস যেখানে বসে তিনি স্হানীয় সাংবাদিক নামধারী কিছু সোর্স আর দালালদের সাথে নিয়ে বসার আড্ডা খানা আর যত ধরনের অপকৌশল করেন ঐ দোতলায় অফিসটিতে বসে। বিচার শালিস বসিয়ে করেন আপোষ মিমাংসা কাজও, যদিও সেটি আইন বহির্ভূত কাজ তবুও প্রকাশ্য দিবালোকে বিচার বিভাগের মত আদালত বসিয়ে করেন এমন বিচার শালিস। তাঁর কথার অবাধ্য হলেই সাধারণ মানুষ কে টানতে হয় মিথ্যা মামলার ঘানি,যা স্হানীয় একাধিক সূত্র মতে জানা যায়,নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন অফিসার ও পুলিশ সদস্যও তার এসব অপকর্ম এবং আচার আচরণে ক্ষুব্ধ, পুলিশ সদস্যরা জানান শুধু চাকুরীর ভয়ে সিনিয়র অফিসার হিসেবে তাকে প্রটোকল অনুযায়ী সন্মান দিতে হয় কিন্তু তার কার্যক্রম এবং ভাষাগত আচরণের বিষয়ে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেন,
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, বিগত দিনে তার গায়বী মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন অনেকে এবং মামলার হুমকি থেকে বাদ পরেনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও।
খোশগল্পের চলে এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা বলেন,আমার ওয়ার্ডের এবং আমার পরিচিত দুইজন ব্যক্তিকে একটি চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার করেন এস আই এমদাদ, আমি আসামিদের প্রতিনিধি হয়ে পুরো বিষয়টি জানতে আশুলিয়া থানায় যাই, সেখানে গিয়ে জানতে পারি এস আই এমদাদ তাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চেয়েছে। কেনো টাকা দিতে হবে আমি এমদাদের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাকেও থানায় আটকে রাখার হুমকি দেন পরে আমি বিষয়টি আশুলিয়া থানার সাবেক তদন্ত অফিসারকে জানাই।তিনি এমদাদকে তার অফিস কক্ষে ডাকলে এস আই এমদাদ আমাকে দুষ্টমি করে এসব বলছেন বলে জানান তদন্ত অফিসারকে।
আশুলিয়া থানার লোকজনের ভাষ্যমতে এস আই এমদাদ'র চলাফেরা ব্যবহার আচার-আচরণ মনে হয় তিনিই যেন আশুলিয়া থানার ওসি। নাম ঠিকানা ও পরিচয় গোপন রাখার শর্তে আরও অনেকেই বলছেন বাংলাদেশ পুলিশের বেতনভুক্ত চাকুরির পাশাপাশি তিনি আশুলিয়ার এক ইউপি চেয়ারম্যানের খাস লোক হিসেবে কাজ করেন দীর্ঘ সময় ধরে।
গত বেশ কয়েক দিন যাবৎ এস আই এমদাদ এবং তার সহযোগী এস আই শেখ ফরিদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সঠিক তথ্য ও অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক জাতীয় পত্রিকায় বিভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পরও তিনি কিভাবে এখনো আশুলিয়া থানায় বসে এমন কার্যক্রম চালাচ্ছেন এস আই এমদাদুল হকের খুঁটিরজোর কোথায় প্রশ্ন উঠেছে সাভার আশুলিয়ার মানুষের মাঝে, পুলিশের প্রশাসনিক ব্যবস্হা নিয়ে প্রশ্ন জনমনে । সেই সাথে একাধিক সংবাদ প্রকাশের পরও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের টনক নড়ছে না বলে সাভার আশুলিয়ায় উঠেছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়, সার্বিক বিষয়ে জানতে চেয়ে আশুলিয়া থানার ওসি কামরুজ্জামানকে তার সরকারি মোবোইল নাম্বারে কল দিলেও তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি। আরো অনুসন্ধান চলছে তথ্য বেড়িয়ে আসলে পরবর্তী সংখ্যায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করা হবে,