বিশেষ প্রতিনিধি :
দেশের শিল্পাঞ্চল খ্যাত আশুলিয়া থানা,যেখানে বর্তমানে থানার কার্যক্রম চলছে রাজনৈতিক নেতাদের ইচ্ছে মতো বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু এখানে শেষ নয় এজাহার থেকে নাম পরিবর্তন ও বাতিলের অভিযোগ আশুলিয়া থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান মাস্টারের বিরুদ্ধে ।
প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, গত ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে আশুলিয়া থানায় নীল পাঞ্জাবী পরিহিত মধ্য বয়সী একজন ওসির চেয়ারে বসে মামলার এজাহার কাটছাট করছেন। তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন ১৫-২০জন তরুণ যুবক। তাদের কেউ ঢুকছেন আবার কেউ বা বের হচ্ছেন। অর্থাৎ কড়া নজরদারিতে বাইরে সারি সারি মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন দেড় থেকে দুইশ যুবক। ওসির টেবিলে একটি ওয়াকিটকি পড়ে থাকলেও ওসির রুমে তখন কোনো পুলিশই তখন ছিলো না।
ঘটনার দিন প্রত্যেক্ষদর্শী বক্তব্য এবং ভিডিও ফুটেজে ওসির চেয়ারে বসা ব্যক্তি ছিলো আশুলিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান মাস্টার। এ বিষয়ে জিল্লুর রহমান মাস্টারের সাথে যোগাযোগ করতে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তার মোবাইল মোবাইল সংযোগটি পাওয়া যায়নি।
সরেজমিনে প্রত্যেক্ষদর্শীদের সুত্র মতে জানা যায়, গত ৫ই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর আশুলিয়া থানায় লাশ পোড়ানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর থেকে আশুলিয়া থানার পুলিশ মুলত নিস্ক্রিয় এবং ঢিলেঢালা অবস্হায় রয়েছে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ওসির মোবাইলে কল দিলেও তিনি কলটি রিসিভ করেননি।