Doinik Bangla Khobor

তিতাসে মারামারিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

তিতাস (কুমিল্লা)প্রতিনিধি :
তিতাসে দুই গ্রুপের মারামারিকে কেন্দ্র করে থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।

অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মাছিমপুর গ্রামের কালাম গ্রুপ ও জয় গ্রুপের মধ্যে পূর্ব থেকে রেষারেষি চলে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৭ মে রাত সাড়ে ১০ টায় মাছিমপুর বাজারে ড্রাইভার ডালিমকে মারধর করে জবেদ আলী চেয়ারম্যানের ছেলে জয়, ফারুকসহ কয়েকজন।

ডালিম মার খেয়ে আবু কালামকে জানালে পরে জয়কে খুঁজতে থাকে তারা।

না পেয়ে জয়ের মামাতো ভাই ফারুক হোসেনকে মেরে রক্তাক্ত করে ডালিম, আবু কালাম ও হাসানসহ কয়েকজন। বর্তমানে ফারুক তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে।

 

অপর দিকে কালাম কেন জয়কে পুলিশে ধরিয়ে দিল সে জন্য তাকে খুঁজতে থাকে জয়। কালামকে না পেয়ে হানিফ মিয়ার ছেলে ডালিম মিয়াকে মারধর করে। সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে আসে এবং জয়, ফারুকসহ কয়েকজনকে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।

এই বিষয়ে জয়ের মা চম্পা মেম্বার বলেন, মনির হোসেনের ছেলে আবু কালাম, হাসান, হানিফ মিয়ার ছেলে ডালিমসহ ৫/৬ জন মিলে আমার ছেলেকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। তাদের কারণে পুলিশ আমার ছেলেকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। তারা কেন এমন কাজটি করলো? কি অপরাধ ছিলো আমার ছেলের।

 

এই বিষয়ে আবু কালাম বলেন, পুলিশ কি আমার কথায় উঠবস করে, যে আমি তাকে ধরিয়ে দিব? বরং আমাকে হত্যা করার জন্য হুমকি ধমকি দিচ্ছ জয়সহ কয়েকজন। আমার দোকানে গিয়ে আমার বাবা ও ভাইকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে আমরা সব সময় তটস্থ থাকি।

অপরদিকে আহত ফারুক হোসেন বলেন, আমি শ্বশুরবাড়ি গৌরীপুর থেকে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়ি আসছিলাম পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা একদল সঙ্গবদ্ধ দল আমার ২ লক্ষ টাকা, ১ টি ঘড়ি ও ১ টি মোবাইল সেট নিয়ে যায়।

 

এই বিষয়ে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, মারামারিকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ দুটি অভিযোগ দায়ের করেছে। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।