আরিফ হোসেন হারিছ :
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামে ৩ সন্তানের জনক ও স্ত্রী নিয়ে ৫ সদস্যের একটি পরিবার। ভিটে মাটি ও সম্বল হীন একমাত্র অবিভাবক অর্ধপঙ্গু কর্ম অক্ষম অসুস্থ দেলোয়ার মিয়া (৫০) নামে অসহায় একজনের মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের আহম্মেদ আলীর ছেলে দেলেয়ার মিয়া, তারা ৪ ভাই বোন, ৩ ভাই ১ বোনের মধ্যে তিনিই বড় ছেলে। তিনি ৩ সন্তানের জনক, বড় মেয়ে সুমি আক্রান্ত (৩০) ৫ বছর আগে বিবাহ হয় ও ২ ছেলে ছাইম (১৭) মাইম (১২) ছেলেরা নাবালক হওয়ার সংসারে উপার্জন করার কেউ নেই পরিবারে উপার্জন করার মতো একমাত্র ব্যাক্তি তিনি হার্ড এ্যাটাকে বেঁচে গেলেও তার শারীরিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে প্যারালাইসিসে তাকে কর্মক্ষম করে দেয়। তিনি ঠিকমত হাটাচলা ও কথা বলতে পারেনা, হাতে লাঠি নিয়ে কোনোরকম চলাফেরা করেন। থাকার জন্য নেই নিজস্ব কোনো যায়গা ও ঘরবাড়ি।
একই গ্রামের ফজল হক সরদারের ছোট ছেলে সৈয়দ হোসেন সহিদ, বাংলাদেশ মানবাধিকার উন্নয়ন কমিশন সিরাজদিখান শাখা-এর সদস্য, দেলোয়ার মিয়ার এই অবস্থা দেখে তার ক্রয়কৃত খালি ভিটায় তাকে থাকার যায়গা দেন তিনি বলেন লোকটি দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ ওনার ৩ সন্তান কিন্তু কেউ সাবালক না হওয়ায় সংসারে কাজ রোজগার করার কেউ নেই, অর্ধাহারে, অনাহারে না খেয়ে দিনযাপন করছেন।
স্থানীয় গ্রামবাসী জানান আসলে ব্যাপারটা খুব দুঃখজনক, অসুস্থ মানুষ, সংসারে ৪-৫ জন মানুষের সংসার ১ টাকাও রোজগার করার কেহ নাই, টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে পারেনা, ভাত খেতে পায়না, নাই থাকার যায়গা খুব কষ্টে দিন কাটছে পরিবারটির।
এবিষয়ে বালুচর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য দুলাল সাহেবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই বিষয়টা অত্যান্ত মর্মান্তিক, আমাদের গ্রামে এই একটা লোক ছেলে মেয়ে সংসার নিয়ে খুব কষ্টে আছে। থাকার যায়গা নেই, রোজগার করার কেউ নেই, খেয়ে না খেয়ে, অন্যজনের বাড়িতে ছাপরা তোলে থাকতেছে। আমি যথাসাধ্য ত্রান সাহায্য সহযোগিতা করি। কিন্তু তাতে তার কিছুই হয়না। যদি কোনো বিত্তবান, দানশীল মানুষ এই অসহায় মানুষটার পাশে দাড়াঁয় হয়তো সে সুস্থ হতেপারে বা কিছুটা ভালো চলতে পারতো।
এবিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম জানান আমি দেলোয়ারের বিষয়ে জানতাম না আপনাদের মাধ্যমে অবগত হলাম। আগামীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।