নিজস্ব প্রতিনিধি :
কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা একজন সফল উদ্যোক্তার গল্প
গল্পটি নাটকীয় মনে হলেও আসলে এটি বাস্তবের প্রতিচ্ছবি। শেখ হাসিনার সরকারের প্রথম মেয়াদ কালে স্বপ্নবাজ এক তরুণের সফলতার সিঁড়িতে প্রথম পা রাখা। আর সেই সিঁড়ি তৈরির কারিগর ছিলেন আওয়ামী লীগেরই এক পরিবার । যারা শুধু ভালোবাসাই দেননি, পথই দেখিয়েছিলেন দিয়েছিলেন অর্থের যোগান।
হ্যাঁ এবার যাকে নিয়ে কথা বলছি সেই সফল উদ্যোক্তার নাম আমান উল্লাহ আমান। আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের গোহাইলবাড়ী দীঘির পাড় গ্রামে তার জন্ম ।
গাজীপুরের চন্দ্রায় নিজের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান উদ্বোধনকালে ডিআইজি হাবিব ও এসপি শামসুন্ননাহারের সাথে আমানউল্লাহ।
মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে আমান স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে ১৯৯৮ সালে সবেমাত্র কলেজে পা রাখল। তখন থেকে তার মনে হয়েছে লেখাপড়ার পাশাপাশি সে তার সময়গুলোকে কাজে লাগাতে পারে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে পারে । কিন্তু ঠিক কি করবে লক্ষস্থির করতে পারছিল না। সে সময় সাভার কলেজের পাশেই উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার অফিস ছিলো। নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষে যোগাযোগ করলেন যুবউন্নয়ন কর্মকর্তার সাথে। হাতে কলমে স্বল্প মেয়াদে পোল্ট্রি মৎস ও ডেইরী-র উপরে তিনমাসের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে ২শত মুরগীর বাচ্চা দিয়ে শুরু করেন পোল্ট্রি খামার। এক বছরের মাথায় তার ব্যবসা আরো প্রসারের উদ্দেশ্য শেখ হাসিনা সরকার বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষে প্রতিষ্ঠিত যুব উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহন করেন। এরপর থেকে তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
নিজের আক্লান্ত পরিশ্রম সততা নৈতিকতার জন্য তার পাশে দাড়িয়ে উৎসাহ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা বিভাগের ডিআইজি হাবিবুর রহমান বিপিএম, পিপিএম(বার)।
পরিশ্রমের মাধ্যমে যে সফল ব্যবসায়ী হওয়া যায়, তার বড় উদাহরণ তিনি ।
আশুলিয়ায় তিনি একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।
স্বপ্নবাজ এ মানুষটি গড়েছেন একের পর এক ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান। সমাজ সেবায়ও তার রয়েছে বিশেষ অবদান। তিনি একাধারে দুটি মসজিদ ও দুটি স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি। সমাজের অসহায় দুস্থদের প্রতি তিনি বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যে সহযোগীতার হাত। তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে দেড়"শ বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিমাসে তাদের দশ লাখ টাকা বেতন দেয়া হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে লগডাউনের মাঝেও তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সেখানে কর্মরতদের নিয়মিত বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। আশুলিয়ায় ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি আজ অনেকের কাছেই অনুকরণীয়।
বিগত নির্বাচনে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের পত্নীর সাথে নৌকার প্রচার প্রচারণা কালে আমানউল্লাহ।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত পথেই আ.লীগের একজন সমার্থক হিসেবে বিগত প্রতিটি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নে আ.লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে ভোট চেয়ে প্রচার প্রচারণা করেন। দলের কাছে কোন কিছু পেতে নয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে তিনি একজন সহযোগী হিসেবে কাজ করাই তার লক্ষ।