বিশেষ প্রতিবেদক :
কুমিল্লা দেবিদ্বার পৌরসভার নিউমার্কেট এলাকার চান্দিনা সড়কের সামনের একটি ভবনের তিনতলা একটি অংশ ভাড়া নিয়ে জামিয়া ইসলামীয়া বাইতুল নূর মাদ্রাসা নামের একটি প্রাইভেট হাফেজিয়া মাদ্রাসা। এ মাদ্রাসার একাধিক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। করোনা কালে শতাধিক শিক্ষার্থীর ব্যবহারের জন্য একটি বাথরুম ও কোন প্রকার স্যানিটাইজেশন ব্যবস্থা ছাড়াই নিরাপত্তাহীন ও অস্বাস্থ্যকর গাদাগাদি পরিবেশে চলছে মাদ্রাসার কর্যক্রম। একপাশে বিউটি পার্লার আরেক পাশের দুটি কক্ষে চলে এ মাদ্রাসার হেফজখানার কার্যক্রম। মাদ্রাসা হোষ্টেলের সিসি ক্যামেরা অফ করে দিয়ে কুরআন চালান দিয়ে অভিশাপ ও পাগল করে দেয়ার ভয় দেখিয়ে প্রতি রাতেই নিয়ম করে চলতো মাদ্রাসার শিশুদের বলাৎকার! হুজুরের বলাৎকারে অসুস্থ এক শিশুর পিতার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মাদ্রাসা হোষ্টেলের দায়িত্বে থাকা বলাৎকারকারী কারী হুজুর শাহজালাল (২৮) কে মাদ্রাসা থেকে গতকাল শুক্রবার রাতে আটক করে দেবিদ্বার থানা পুলিশ। মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরেই এমন অপকর্ম করে আসছেন কারী শাহজালাল। শাহজালাল দেবিদ্বার উপজেলার তালতলা গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। বলাৎকারের বিষয়ে আরেক ভুক্তভোগী শিশু শিক্ষার্থী মাদ্রাসা মোহতামিম ও পরিচালক মাওলানা সাইফুল্লাহ হুজুরের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার পায়নি। বলাৎকারের বিচারে ঐ শিশু শিক্ষার্থীটির কাছে বলাৎকারকারী শিক্ষক কে মাফ চাইয়ে দোকান থেকে মজা কিনে দিতে বলেন মোহতামিম। ফলে বলাৎকারকারীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় বেপরোয়া শাহজালাল প্রতিনিয়ত বলাৎকার করতে থাকে শিশুদের। হুজুরের বলাৎকারে অসুস্থ একটি শিশুকে কুমেক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
অভিযোগকারী ভুক্তভোগী শিশুর পিতা মকবুল হোসেন ছেলেকে নিয়ে কুমেক হাসপাতালে আছেন জানিয়ে অভিযোগ করে বলেন, একমাত্র ছেলেকে পবিত্র কুরআন ও দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছি এমন জঘন্য কাজ হয় জানলে কখনোই ওখানে পড়াতাম না। আমি এ জঘন্য অপরাধের দৃষ্টান্তমুলক বিচার চাই।
এবিষয়ে দেবিদ্বার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন জানান, ভুক্তভোগী এক শিশুর পিতার দায়ের করা অভিযোগে ভিত্তিতে গতরাতেই মাদ্রাসা থেকে কারী শাহজালাল নামে একজনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য কেউ জড়িত থাকলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।