বিনোদন ডেস্ক :
খালেদা আক্তার কল্পনা। অভিনয় করেছেন প্রায় ৫০০ চলচ্চিত্রে। অনবদ্য অভিনয় দিয়ে অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। চলচ্চিত্রের সেনালী দিন পাড়ি দেয়া এ অভিনেত্রী এক সময় তুমুল ব্যস্ত ছিলেন। তবে দীর্ঘদিন অভিনয়ের বাইরে রয়েছেন তিনি। কেমন আছেন? খালেদা আক্তার কল্পনা বলেন, করোনার কারণে বেকার হয়ে গেছি। মাঝে টুকটাক কাজ করেছিলাম ছোট পর্দার জন্য। কিন্তু শেষ কোন সিনেমার শুটিং করেছি মনে করতে পারছি না।
সিনেমায় আমরা যারা নিয়মিত কাজ করে আসছিলাম তাদের জন্য কষ্টের সময় যাচ্ছে। অভিনয় না করতে পারায় খারাপ লাগাও তো কাজ করে? এ অভিনেত্রী বলেন, খারাপ তো লাগেই। আমি তো অভিনয়ের মানুষ। অভিনয়ই আমার সবকিছু। কিন্তু করোনার কারণে সময়টাই পাল্টে গেছে। মেনে নিতে হচ্ছে। কিছু করার নেই। করোনার মধ্যে ছোট পর্দায় কাজ করেছেন বললেন। সেখানে তো কাজ চালিয়ে যেতে পারতেন? উত্তরে
খালেদা আক্তার কল্পনা ক্ষোভের সুরে বলেন, ছোট পর্দায় গ্রুপিংয়ের ব্যাপার আছে। একজন আরেকজনকে টানে। নাটকের লোকেরা নাটকের লোকদের নেয়। তারা নিজেদের গ্রুপের আর্টিস্টদের বাইরে কাউকে সচরাচর কাজে নিতে চায় না। দেখা গেলো কেউ বিদেশে গেলো অথবা অসুস্থ হল তখন তারা সিনেমার আর্টিস্টদের কথা মনে করে। আর নাটকের লোকেরা সিনেমার লোকদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। ফিল্মের লোকদের প্রতি তাদের কোনো টান নেই। আমি ছোট পর্দার ভালো পরিচালকদের নির্দেশনায় কাজ করেছি। তারপরও বললাম এই কথা! এটাই সত্যি। তিনি আরও বলেন, এখনও সিনেমার লোকদের আলাদা আবেদন আছে। সিনেমার লোকদের বেশি চিনে সবাই। সাধারণ মানুষ আমাদের অনেক ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে, সম্মান করে। এখন তাহলে সময় কাটাচ্ছেন কী করে? খালেদা আক্তার কল্পনা বলেন, লেখালেখি করে সময় কাটাচ্ছি। গত বছরের অক্টোবর মাসে আমার লেখা একটা নাটক অন এয়ার হলো। নাটকটি সবাই পছন্দ করেছেন। একটা সিনেমার গল্পও লেখা শেষ করেছি। উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে "নতুন মুখের সন্ধানে" কার্যক্রমের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের পা রাখেন খালেদা আক্তার কল্পনা। তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা "হনুমানের পাতাল বিজয়"।