ইয়ামিন,নারায়ণগঞ্জ থেকে :
সকল শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া শিক্ষা সনদসহ এনআইডি পাওয়া যায় আড়াইহাজারে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলায় মাত্র একশত থেকে দুইশত টাকায় এসএসসি,এইচএসসি এমনকি জন্মনিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি কার্ড) পাওয়া যায় এসমস্থ দোকানে। টাকা দিলেই চোখের পলকে হুবহু নকল করে তৈরি করছে দেদার। দেখে বোঝার উপাই নেই কোনটা আসল আর কোনটা নকল।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, আড়াইহাজার থানার সামনেই প্রায়ই স্টুডিও এবং কম্পিউটার দোকানে টাকার বিনিময়ে ভুয়া শিক্ষা সনদ এবং জাতীয় পরিচয় পত্র ও জন্মনিবন্ধন তৈরি করে এমন কি সমাজ কল্যান বাজার,ব্রাক্ষন্দী,জাঙ্গাইলা,তালতলা,উচিৎপুরা,গাউছিয়া তাঁত বাজার, মোল্লাচর বাজার ও প্রায় স্টুডিও এবং কম্পিউটারের দোকানে ৪-৫শ টাকার বিনিময়ে ভুয়া শিক্ষা সনদ এবং জাতীয় পরিচয় পত্র ও জন্মনিবন্ধন তৈরি করে তাঁরা।
বিসমিল্লাহ প্রেস এন্ড ইহান ডিজিটাল স্টুডিও দোকানের কর্মচারী জানান, সামান্য কিছু টাকায় মাসিক বেতনে কাজ করেন তিনি।
মাঝে মাঝে পোশাখ কারখানায় কাজের জন্য শ্রমিকরা আসে তার কাছে।এক থেকে দুইশত টাকা থেকে শুরু করে ব্যক্তি বিশেষ টাকা নিয়ে থাকেন এই কর্মচারী আরো জানান, পোশাক কারখানা, নিরাপত্তা প্রহরি এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরী প্রত্যাশীরাই তাদের কাছে আসেন উচ্চতর ডিগ্রির শিক্ষা সনদ বানাতে । এদের মধ্যে অনেকেই আসেন জাতীয় পরিচয় পত্র ও জন্মনিবন্ধন বানাতে।একই কথা বলেছেন আরো কিছু স্টুডিও মালিক।
এই বিষয়ে বিসমিল্লাহ প্রেস এন্ড ইহান ডিজিটাল স্টুডিও মালিক মো: শাহপরান বলেন এগুলো সব কম্পিউটারের দোকানে বানায় সাথে আমিও করি এগুলো কনো বেপার না তিনি আরো বলেন ঢাকার ভিতরে এক থেকে দুই লাখ টাকা দিলে সরাসরি বোর্ডের শিক্ষা সনদ দিয়ে দেয় তাই সে মনে করে এটা কনো অপরাধ না।
সেই সাথে আতিকুর বলেন পোশাক কারখানায় কাজের জন্য ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য মানুষ আমার কেছে আসে শিক্ষা সনদ ও ভোটার আইডি কার্ড নিতে মাসে ১৫ থেকে বিশটা কাজ আসে আমি দেই তাতে তাদের ও উপকার ও হয় সাথে আমারও ইনকাম হয়।
অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত এবং দাগি অপরাধীরা নিজের নাম ঠিকানা গোপন রেখে ভুয়া শিক্ষা সনদ ও জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করে ভুয়া পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে অবাদে। ফলে মাঝে মধ্যেই অপরাধ সংগঠিত করে খুব সহজেই আত্মগোপনে চলে যাচ্ছে অপরাধীরা। ফলে অপরাধী সনাক্ত,আটক এবং গ্রেফতারে বে-কায়দায় পড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।