বিশেষ প্রতিবেদক :
গত ১৫ এপ্রিল - ২৪ ইং তারিখে ফেসবুকে নাম সর্বস্ব এক স্ট্যাটাসের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিনকে গত ১৬ এপ্রিল-২৪ ইং তারিখে সুকৌশলে ডেকে নিয়ে খুলনা জেলা ডিবি পুলিশের এএসআই রাজ কুমার,এস আই আলামিন,এস আই ইমরুল করিম ও ইন্সপেক্টর নাসির উদ্দিন অস্ত্র মামলায় ফাঁসানো, অর্থের বিনিময়ে আসামি ছেড়ে দেয়া, সোর্স কর্তৃক হত্যার হুমকি ও লাঞ্ছিত করার ঘটনা সহ একাধিক অনিয়ম দুর্নীতি তুলে ধরে জীবনের নিরাপত্তারড় চেয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ প্রধানসহ কয়েকটি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীন।
জানা যায়,অভিযোগের পর একাধিক জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে রীতিমতো ডিবি পুলিশের অবস্থা নাজেহাল হয়ে পড়ে। নিজেদের পিঠ বাঁচাতে ডিবি পুলিশ সাংবাদিকের সাথে ঘটে যাওয়া প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইতিপূর্বে যাদের বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। তাদেরকে হাত করে ভুলভাল বক্তব্য ধারণ করে সাংবাদিককে হেয় প্রতিপন্ন ও কটুক্তিমূলক বক্তব্য ধারণ করে মূল ঘটনার রহস্য অন্যদিকে ঘোরানোর অপচেষ্টাসহ নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে সাংবাদিককে মিথ্যা অপবাদে মামলা দিয়ে ফাঁসাতে লিপ্ত রয়েছেন খুলনা জেলা ডিবি পুলিশের কতিপয় কিছু সদস্য। তারা কিছুটা সরকারী ক্ষমতার অপব্যবহারের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে যেমন সাংবাদিক কোথায় থাকতো কি করতো বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহের নিমিত্তে ত্রাস সৃষ্টি করে বেড়াচ্ছে ডিবি পুলিশ। কারণ সাংবাদিকের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা সত্যতা মিললে হয়তো ডিবি পুলিশের বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যেতে পারে এজন্য তারা সাংবাদিকের করা অভিযোগ গুলো মিথ্যা প্রমাণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তাই অভিযোগের প্রমাণ লোপাট করে স্বয়ং সাংবাদিককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিতে জেলা ডিবি পুলিশের ইতিমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। উল্লেখ্য সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন ইতিপূর্বেই ডিবি পুলিশের ছত্রছায়ায় থাকা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করে। গত ০৮/০১/২৪ ইং তারিখে সাংবাদিকের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা প্রকাশ করলেও কোন সমাধান না পাওয়ায় এলাকা ছেড়ে খুলনা শহরে বসবাস করতে বাধ্য হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ০২/০৫/২৪ ইং তারিখে ডিবি পুলিশের একটি দল রূপসা জাবুসা স্কুলমাঠ সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী রাজু শেখের সক্রিয় অন্যতম সদস্য মাদক ব্যবসায়ী ফয়সালকে দিয়ে সাংবাদিককে মুঠোফোনে বক্তব্য দেয়া ব্যক্তিদের সুকৌশলে ডেকে তারা কিছুই জানেনা, সাংবাদিক কি কোন বক্তব্য দেয়নি, সাংবাদিক মিথ্যা কথা বলেছে, সাংবাদিক খারাপ চরিত্রের মানুষ, তাদের কাছে বিভিন্ন সময় চাঁদা চেয়েছে ইত্যাদি শিখিয়ে দিয়ে মোবাইলে বক্তব্য ধারণ করে। সাথে নিয়ে যায় তাদের ছাত্রছায়ায় থাকা কথিত সাংবাদিক বাহিনী। তাছাড়া বটিয়াঘাটার কড়িয়া ও ভান্ডার কোটের ঝিনাইখালি নামক স্থান সহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে জনমনে ত্রাস সৃষ্টি করে বেড়াচ্ছে বলে জানা গেছে। যাতে কেউ কোনো তথ্য ভুক্তভোগী সাংবাদিককে আর না দেয় এবং ডিবি পুলিশের অপকর্মের কোন তথ্য প্রকাশ না হয়। তাদেরকে ফোর্স করে বিভিন্ন মনগড়া বুলি শিখিয়ে দিয়ে মোবাইলে বক্তব্য ধারণ করে চলেছে যেন ভবিষ্যতে তাদের রাস্তা পরিষ্কার থাকে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক রিয়াজউদ্দিন গত ০৩/০৫/২৪ ইং তারিখে জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন করলে ডিবি পুলিশ আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে এমন আচারণে ব্যস্থ রয়েছে বলে জানা যায়।
এ থেকে প্রমাণ হয় তারা সকল জঘন্য অপরাধের সাথে সংযুক্ত থেকে বিপাকে পড়ে এখন প্রমাণ লোপাট করতে ব্যস্ত সময় পার করছে। স্থানীয়দের ধারণা তারা যদি সততা ও নিষ্ঠার সাথে অভিযান পরিচালনা করে তাহলে সাংবাদিকের দেয়া অভিযোগের পর ঘটনাস্থলে এসে জনগণকে কেন আতঙ্ক সৃষ্টি করবে। অবশ্য ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। অবশেষে ভুক্তভোগী দেশ প্রেমিক সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে ডিবি পুলিশ যেন সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে গায়েবি মামলা ও হামলা না করতে পারে এজন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসী জোর দাবি জানান।ড়