ডেস্ক রিপোর্ট :
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের সময় সহিংসতায় নিহত বিজিবি সদস্য নায়েক রুবেল মন্ডলের গ্রামের বাড়িতে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম, বিজিবিএম(বার), এনডিসি, পিএসসি।
গত ১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ দুপুরে বিজিবি মহাপরিচালক গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হাবিবের বাইগুনি গ্রামের গর্বিত সন্তান নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত বিজিবি সদস্য নায়েক রুবেল মন্ডলের বাড়ীতে যান, তাঁর কবর জিয়ারত করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী- সন্তানদের সান্ত্বনা দেন।
এসময় তিনি বলেন, আমি শুধু বিজিবি'র প্রধানই নই, নায়েক রুবেল মন্ডলের মতো আমিও একজন গর্বিত বিজিবি সদস্য। নায়েক রুবেলের মৃত্যুতে তাঁর পরিবার যেমন শোকাহত তেমনি পুরো বিজিবি পরিবারও শোকাহত ও মর্মাহত।
ইউনিফর্মে কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু যেকোনো সৈনিকের জন্য গর্বের বিষয়। এমন সৌভাগ্য সবার হয় না। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমার সৈনিক নিহত হয়েছে, তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সবার কর্তব্য। সরকারি সহায়তার পাশাপাশি বিজিবি রুবেলের পরিবারের সুখে-দুখে সবসময় পাশে থাকবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, বিজিবি'র চাকরি করা মানে দেশের সেবা করা।
ধর্মীয় গ্রন্থ ছুঁয়ে দেশের জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের শপথ নিয়েই আমরা বাহিনীতে যোগ দিয়েছি। নায়েক রুবেল তাঁর জীবন দিয়ে তার অনবদ্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। দেশের জন্য নায়েক রুবেলের এই আত্মত্যাগ বিজিবি'র জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। নায়েক রুবেলের মৃত্যুর শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে বিজিবি সদস্যরা তাদের উপর অর্পিত যেকোনো দায়িত্ব আরও দৃঢ়তার সাথে পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর ২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০২১ (৩য় ধাপ)-এ বিজিবি'র নীলফামারী ব্যাটালিয়ন (৫৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ নীলফামারী জেলার জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলাধীন ইউনিয়নসমুহের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি সদস্যরা নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গ্রাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নির্বাচনী সহিংসতায় বিজিবি সদস্য রুবেল মন্ডল ঘটনাস্থলে মৃত্যবরণ করেন।