এস আল-আমিন খাঁন,পটুয়াখালী থেকে :
প্রায় ৩০ লাখ মানুষের রক্ত ও বহু মায়ের সম্মানহীনর পর অর্জিত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা। বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে পেয়েছিলাম লাল সবুজের জাতীয় পতাকা, পেয়েছি স্বাধীন একটি দেশ বাংলাদেশ। আজ স্বাধীনতার ৫১ বছর পার হয়েছে কিন্তু যাদের রক্তের বিনিময়ে এ স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি সেই স্বাধীনদেশের জাতীয় পতাকাকে আজ আমরা নাম মাত্রই ব্যাবহার করছি। দেশের প্রতিটা সরকারি অফিসে বাধ্যতামূলক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার কথা থাকলেও কিছু সরকারী দিবসে মানা হচ্ছে এ নীতিমালা, প্রায় সময়ে দেখাযায় টাকার বিনিময় কিন্বা রাজনৈতিক ক্ষমতার বলে নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মকর্তারা সরকারি বিভিন্ন অফিসে চাকরি করছেন। নাম মাত্র সরকারি কর্তা ব্যাক্তিরা প্রতিদিন অফিস করলেও খেয়াল রাখছেন না জাতীয় পতাকার প্রতি প্রায় সময়ে রাতে দেখা যায় সরকারি অফিসগুলোতে পতাকা ঝুলছে অথবা কোন কোন অফিসে তোলাই হয়না পতাকা। এমনই চিত্র দেখা মিললো গত ১১/৫/২০২২ ইং রোজ বুধবার পটুয়াখালী সদরের প্রায় ৮ টি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। জাতীয় পতাকা উত্তোলন না হওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলতে ভাইরাল হবার পরও নেয়া হয়নি কোন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা। পুলিশ সুপার,জেলা প্রশাসক, উপজেলা পরিষদ, পাসপোর্ট অফিস, নির্বাচন কমিশন অফিস ব্যতীত জেলার দশটি সরকারি ভবনে উত্তলন হয়নি গণপূর্ত, এলজিআইডি,সোনালী ব্যাংক,সড়ক ভবন,উপজেলা মৎস্য ভবন, বন-বিভাগ,ডাকা বিভাগ, কৃষি অফিস,উপজেলা শিক্ষা অফিস, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিস, মহিলা অধিদফতর, গন স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিস সহ প্রায় দশটি অফিসে লাল সবুজের জাতীয় পতাকা, মনে হয় এগুলো সব কোন বড় মাপের বেসরকারী প্রতিষ্ঠান অথবা গোয়াল ঘর দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটা কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় ব্যক্তিরা ছাড়া অন্য কোন জেলার বা এলাকার মানুষের কাছে সাইনবোর্ড দেখে চিনতে হয় কোনটা কোন প্রতিষ্ঠান। সাধারণ জনগণ ও সুশীল সমাজ মনে করেন এমন টা চলতে থাকলে জাতীয় পতাকার তাৎপর্য বর্তমান সমাজ ভুলতে বসবে, খুব দ্রুত এর পতিকার করা উচিৎ বলে মনে করেন সকলে।