Doinik Bangla Khobor

পরকীয়ায় বাঁধা দেয়ায় সন্ত্রাসী ভাড়া করে স্বামীকে হত্যা চেষ্টা

বিশেষ প্রতিনিধি :
স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমে বাঁধা হয়ে দাঁড়ানোর জন্য নিষ্ঠুর নির্মমতার শিকার হতে হয়েছে স্বামীকে। চলছে হত্যা করার পরিকল্পনাও। এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন সময়ের আলোচিত সাংবাদিক মোঃ বেল্লাল হোসেন।

বেল্লাল হোসন জাতীয় ‘দৈনিক গনতদন্ত’ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সকল উন্নয়ন নিয়ে নির্মিত ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ নামক শীর্ষক অনুষ্ঠানের পরিচালক। এছাড়াও ‘জয় ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানী’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বহুদিন ধরে।

জানা যায়, তার স্ত্রী বহুদিন ধরেই পরকীয়ায় আসক্ত। তাই স্ত্রীর পরকীয়ায় বাঁধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণে গত ২৭ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখে সাংবাদিক বেল্লাল হোসেনের ভাড়াবাসায় ৭-৮ জন সন্ত্রাসী রামদা, লোহার রড় ও ছুরি দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার কারণে তার শরীর মারাত্মকভাবে জখম হয় ও মুখের তিনটি দাত ভেঙ্গে যায়। এতে সে সম্পূর্ণভাবে অচেতন হয়ে পরে। যথা কারনে সন্ত্রাসী বাহিনী সাংবাদিক বেলাল হোসনেকে মৃত ভেবে ফেলে রাখে। এদিকে তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম বাসায় থাকা নগদ ৭,৫০,০০০৳, স্বর্নালংকার ও হাতে থাকা মুঠো ফোনসহ মানিব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়।

২৮ জানুয়ারি বেল্লাল হোসন রক্তাক্ত মুমূর্ষু অবস্থায় পরিবারের সহযোগিতায় উদ্ধার হন, এবং পল্লী চিকিৎসকের কাছে ঘরোয়া চিকিৎসা নেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে ৩১/ ১/ ২০২২ ইং তারিখে আমতলী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

এ বিষয়ে সাংবাদিক বেল্লাল হোসেন গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, আমি আমার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক ও তার ভারাটে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছি। তারা আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার তিনটি দাঁত ভেঙে যায় এবং আমি গুরুতর আহত হই। পরে তারা আমাকে মৃত ভেবে ফেলে রাখে এবং আমার টাকা, স্বর্ণলংকার, মানিব্যাগ ও মুঠোফোন নিয়ে পালিয়ে যায়। দুই-একজন সন্ত্রাসীদের আমি চিহ্নিত করতে পেরেছি। তারা হল মোঃ বোরহান উদ্দিন, মোঃ নাসির হোসেন, এবং আমার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক মোঃ আলিম মিয়া।

বেল্লাল আরো জানান, এতকিছুর পরও আমি গত দুই মাস ধরে আমার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমি ব্যর্থ হয়েছি। এখন আমি নিরুপায়। তাই ন্যায্য বিচার পাওয়ার লক্ষ্যে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

বিষয়টি নিয়ে বেলাল হোসনের স্ত্রী মোসাঃ রোকেয়া বেগমের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনও কোন অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।