কুমিল্লা মহানগর প্রতিনিধি :
গত ৯ ফেব্রুয়ারী রোববার সকালে বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে ফৌজদারি রোডের খালেকুজ্জামান কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করা হয়েছে,পূবালী ব্যাংক লিমিটেড এর কুমিল্লা জেলা পরিষদ শাখা, নতুন ভবনে স্হানান্তর শুভ উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন,ভাল সেবার মাধ্যমেই পূবালী ব্যাংক বর্তমানে জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে। ৬১ বছরের কর্মদক্ষতায় পূবালী ব্যাংক সংগঠিত করেছে এক ঝাঁক মেধাবী ও দক্ষ অফিসার। কুমিল্লার অসংখ্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মূলধন যোগান দিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন করেছে অত্র প্রতিষ্ঠানটি। সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষার ফলেই বর্তমানে পূবালী ব্যাংকের এত জনপ্রিয়তা। আমরা চাই অত্র প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতেও তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে,
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সহকারি মহা-ব্যবস্থাপক ও শাখা ব্যবস্থাপক একেএম মাসুদ’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পূবালী ব্যাংক লিমিটেড’র কুমিল্লা অঞ্চল প্রধান ও উপ- মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ. আব্দুর রহিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর দক্ষিণ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলু, সহকারি মহাব্যবস্থাপক মো. মাইনুল ইসলাম, সহকারি মহাব্যবস্থাপক রেহেনা আক্তার, জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান, আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, ভবন মালিক কাজী খালেকুজ্জামান। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সিকদার কনস্টাকশনের সত্বাধিকারি মো. কবিরুল ইসলাম সিকদার, ইজি এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারি মো. জাহাঙ্গীর আলম, ফেয়ার ফ্যাশনের সত্বাধিকারি জামাল উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করে অত্র শাখার কর্মকর্তা ফকরুজ্জামান খন্দকার।
উল্লেখ্য,পূবালী ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের স্বায়ত্বশাসিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম। শাখা ও কর্মকান্ডের বিচারে, সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর পরেই এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম ব্যাংক। এই ব্যাংকটি সেরা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ‘বাংলাদেশ বিজনেস এওয়ার্ড-২০০৯’ পদক অর্জন করেছে। এই ব্যাংকটি পূর্ব পাকিস্তানের কয়েকজন বাঙালি উদ্যোক্তার উৎসাহে ১৯৫৯ সালে ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংক নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে এটি পূবালী ব্যাংক নামে সরকারিকরণ করা হয় এবং পুণরায় ১৯৮৩ সালে এটিকে বেসরকারিকরণ করা হয় ও নামকরণ করা হয় "পূবালী ব্যাংক লিমিটেড"। বর্তমানে ব্যাংকটি ৬১ তম বর্ষে পা রেখেছে।