টাকা লেনদেন শেষ মোবাইল নাম্বার ব্লক প্রতারক চক্রটিকে ধরতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ।
এম শাহীন আলম :
প্রবাসে কর্ম সংস্হানের আশায় বেকারত্ব দূর করে সংসারের স্বচ্ছল ফিরিয়ে আনতে ওমানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত ১৫ টি পরিবার।
জানা যায়,ওমান প্রবাসী মনিরের সাথে ফেসবুকে গত ৪ বছর আগে পরিচয় হয় আরেক প্রবাসী ছদ্মবেশী চাঁদপুর ফরিদগঞ্জের সাদ্দাম ওরফে সুমনের সাথে দীর্ঘ কয়েকমাস মোবাইল ফোনে বন্ধুত্বের ছলে কথা হয় চাঁদপর মতলবের মনিরের সাথে মোবাইল ফোনে সাদ্দাম ওরফে সুমনের।দুজনের সু-সম্পর্কের দূর্বলতাটাকে কাজে লাগিয়ে সাদ্দাম ওরফে সুমন ওমানে আল সাফা কোম্পানীতে সেলসম্যান পদে চাকুরির জন্য বেশ কিছু লোক লাগবে বলে প্রলোভন দেয় মনিরকে, মনির প্রতারক সাদ্দাম ওরফে সুমনের কথা বিশ্বাস করে তিনি নিজে সহ আরো চৌদ্দজনের পাসপোর্টের কপি সহ মোট ১৫ টি পাসপোর্ট সহ জনপ্রতি ২ লাখ টাকা করে কয়েক ধাপে বিকাশ,এজেন্ট ইসলামী ব্যাংককিং শাখা ও মাসকট ব্যাংক শাখার মাধ্যমে সর্বোমোট ৩০ লাখ টাকা প্রদান করে সাদ্দাম ওরফে সুমনের দেওয়া বিভিন্ন একাউন্টে মনির।মনির টাকা দেওয়ার আগে সাদ্দাম ওরফে সুমনের ১৫ টি পাসপোর্টের বিপরীতে কম্পিউটার সফটওয়ারের মাধ্যমে ১৫ জনের ভিসার কপি মনিরের ম্যান্সজারে শো করলে মনির তাকে বিশ্বাস করে টাকা লেনদেন করা শুরু করে। যখন ১৫টি ভিসা বাবদ মনিরের কাছ থেকে সাদ্দাম ওরফে সুমন ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া শেষ হয় তখন থেকে মনির সাথে সাদ্দাম ওরফে মনির যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং মনিরের ফেসবুক, ম্যান্সেজার,মোবাইল নাম্বার ব্লক করে দিলে তখন মনির বুঝতে পারেন তিনি প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছেন। তখন মনির মোবাইল নাম্বার এবং ব্যাংক একাউন্টের সূত্র ধরে জানতে পারেন বন্ধুত্বের ছলে ওমানের ভিসা দেওয়াটা ছিল ভূয়া টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল এবং প্রতারণা।
ভোক্তভোগী মনির জানান,আমি সরল বিশ্বাসে সাদ্দাম ওরফে সুমনে কথা বিশ্বাস করে ভালো চাকুরীর আশায় আমি নিজেই এবং এলাকার আত্মীয় স্বজন সহ ১৫ জন বিদেশ যাওয়ার জন্য প্রতিটি ভিসার দাম ধরা হয় তিন লাখ করে,সুমন ভিসার কপি দেখানোর পর তাকে আমি জন প্রতি ২ লাখ করে মোট ৩০ লাখ টাকা দেই।মনির আরো জানান,আমার প্রতি লেনদেন হয় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর,অক্টোম্বর এবং নভেম্বর মাসে,আমি প্রথমে গত ০২.০৮.২০২৩ তারিখে ওমানে মাসকট ব্যাংককের একটি শাখায় ওমান এর টাকা অনুযায়ী ৪৫০ রিয়াল দেই সাদ্দাম ওরফে সুমনের দেওয়া একাউন্টে। মনির জানান,ওমানে থাকা অবস্হায় আমি প্রতারককে সাদ্দাম হিসেবে জানতাম যখন সাদ্দাম বাংলাদেশে চলে আসে পরোক্ষনে সাদ্দামের ভাই মেসার্স ইকরা ট্রেডার্স এর মালিক হিসেবে সুমন সেজে মেসার্স ইকরা ট্রেডার্সের নামে ২০৫০৭৭৭০১০০২১৮৬৮৭ একাউন্ট নাম্বারে সততা এন্টারপ্রাইজ নামক দোকানে বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক এর নারায়ণপুর মতলব দক্ষিন চাঁদপুর এজেন্ট ব্যাংককিং -৩০৫/০৩ শাখা থেকে বিভিন্ন ধাপে ১৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দেই,এবং ব্যাংক একাউন্ট ছাড়াও ০১৭৭২৩৪৭৯২১ বিকাশ নাম্বারেও ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দেই। ভোক্তভোগী মনির জানান, এই ভাবে সর্বোমোট ৩০ লাখ টাকা নেওয়ার পর সাদ্দাম ওরফে সুমন আমার সাথে হটাৎ সকল ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে আমার ফেসবুক ম্যান্সেজার,ইমু মোবাইল নাম্বার ব্লক করে দিলে আমি তাদের বিকাশ মোবাইল নাম্বার এবং মেসার্স ইকরা ট্রেডার্স এর সূত্র ধরে তাদের ঠিকানা পেয়ে সাদ্দাম ওরফে সুমনের বাড়ি চাঁদপুর ফরিদগঞ্জে গেলেও তাদের বাড়ির কেউ আমার সামনে এসে কথা বলতে রাজি হয়নি,বহু কস্টে সাদ্দাম ওরফে সুমনের বড় ভাই অটো ড্রাইভার জৈনক ব্যক্তির সাথে কথা হয়।মনির জানান, যে ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংককিং শাখায় লেনদেন হয় তার ঠিকানাটি হলো মেসার্স ইকরা ট্রেডার্স মালিকের নাম মোহাম্মদ ইউসুফ।ঘরিয়ানা,তোরা মুন্সিরহাট,ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর।ভোক্তভোগী মনির জানান,আমি মানুষের টাকা প্রতারকদের দিয়ে আমার ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছি আমি বর্তমানে নিঃস্ব মানবেতর জীবনযাপন করছি এবং আমার মাথাগোজার ঠাঁই বসত ভিটাটাও বন্ধক রেখে মানুষের টাকা শোধ করতে পাচ্ছি না।এমতাবস্হায় আমার টাকা গুলা উদ্ধারে প্রতারক চক্রটিকে সনাক্ত করে যথাযথ ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের সর্ব মহলের প্রতি সবিনয় অনুরোধ করছি।