ফরিদপুর প্রতিনিধি।।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুইটি মন্দিরের নির্মাণাধীন দুর্গা প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ভাঙ্গা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি স্বপন চন্দ্র সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ভাঙ্গা বাজারের গুড়পট্টি ও ভাঙ্গা বাজার সার্বজনীন হরিমন্দিরে এ প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ জন্য পুলিশ একজন আটক করেছে।
এবিষয়ে গুঁড়পট্টি মন্দিরের পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্বপন চন্দ্র সাহা বলেন, এই মন্দিরে ৭৫ বছর ধরে দুর্গা পূজা করে আসছি। অনেক পুরোনো, তবে কোনোদিন এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে দেখতে পাই কে বা কাহারা একটি প্রতিমার আংশিক ভাঙচুর করেছে। এখানে প্রতিমা নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পথে। এখন শুধু রঙের কাজ বাকি। টানা ৩ দিন বৃষ্টিতে পিছিয়ে গেছি। আমাদের এই মন্দির থেকে একশ মিটার দূরে ভাঙ্গা থানা।
স্বপন চন্দ্র সাহা আরও বলেন, হরি মন্দিরের কার্তিক, অর্জুন, গনেশসহ মোট আটটি প্রতিমার বিভিন্ন অংশে ভাঙচুর করা হয়েছে। আমরা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিষয়টি সুরাহা চাই। আমরা বিশ্বাস করি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীরা আইনের আওতায় আসবে।
এবিষয়ে ভাঙ্গা বাজার সার্বজনীন হরি মন্দির সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সুজিৎ সাহা জানান, রোববার সকালে তিনি মন্দিরে প্রণাম করতে এসে দেখেন প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এ মন্দিরটি তিন দিকে দেয়াল এবং উপরে টিন দিয়ে আচ্ছাদিত। তবে সামনে কোনো গেট নেই। এ মন্দিরে মোট ১৪টি প্রতিমা নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে আটটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। আর আমাদের এই সার্বজনীন কালী মন্দিরটি ৫০ মিটারের মধ্যে ভাঙ্গা থানা।
এ বিষয় সার্বজনীন মন্দিরের সভাপতি কাশিনাথ সাহা জানান, শতবর্ষের পুরোনো এ মন্দিরে এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। সকালে নির্মাণাধীন প্রতিমা দেখতে গিয়ে তিনি গণেশের প্রতিমা ভাঙা অবস্থায় পান। বিষয়টি ভাঙ্গা থানায় জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোকসেদ হোসেন জানান, ভাঙ্গায় দুটি মন্দিরে নির্মাণাধীন প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে কে বা কাহারা ভাঙচুর করেছে কাউকে শনাক্ত করতে পারিনি। তবে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ জন্য আটক করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ঘটনার পর রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের পুলিশ সুপারকে বিষয়টা অবগত করেছি। একইদিন রাত আটটার দিকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল জলিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করার জন্য পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ কাজ করছে । ইতিমধ্যে থানায় এ ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।