Doinik Bangla Khobor

ফেনীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে জিম্মি করে বিয়ে সহ অর্থ আত্মসাৎ হত্যার হুমকিতে মামলা

মহিউদ্দিন মহি খন্দকার :
গত ১৫ই অক্টোবর ফেনী মডেল থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে সৌদি আরব প্রবাসী ফেনী ধর্ম পুর ইউনিয়নের স্বরন পাহাড়তলী গ্রামের (ফলবান বাড়ীর) মৃত আব্দুস সালামের পুত্র ফয়েজ আহম্মেদ (৫৮) উপর তিন/ চার বার হামলা চালায় এলাকার স্থানীয় মৃত মোঃ ইউনুসের বড় ছেলে জাফর আহমেদ এর নেতৃত্বে নুর আফসার(৩৫), শাহাদাত হোসেন (আরফাত)(৩৫), তুষার(২৪),মিজান বাঙালি (৪০), সজীব (২৫), ইমন(২৩), ছরওয়ার (২৬), সাদ্দাম হোসেন (৩০) সহ আরও ১০/১২ মিলে মারধরের পরে হত্যার হুমকি দেন।

সৌদি আরবের দীর্ঘ ৩৫ বছরের হাড়ভাংগা খাটুনি খেটে যে টাকা আয় করেছে তার উপরে শুকুনের কুদৃষ্টি পড়ে সব লন্ড ভন্ড হয়ে গেল।

অসহায় নিরিহ এই রিমিটেন্স যোদ্ধা এখন মৃত্যু পদযাত্রী।

আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী, যুবলীগ নেতা,মাদক সেবক ও ব্যবসায়ী জাপর আহম্মেদ ও আরাফাত এর অত্যাচার নির্যাতন,চাঁদা দিতে না পেরে অতিষ্ঠ জীবন যাপন করছে।

ফয়েজ আহমেদ ব্যক্তিগত জীবনে একজন সহজ সরল মানুষ হিসেবে জীবন যাপনকারী, ধর্মভীরু মানুষ। তিনি ইসলামী আন্দোলন এর এক একনিষ্ঠ সমর্থক। উক্ত খবর টের পেয়ে আওয়ামী লীগের আমলে বাকশালি আচরণ বহুগুন বাড়িয়ে দেন। তাদের চাঁদা আদায়ে ব্যর্থ হলে, জাপর কৌশলে চার সন্তানের জননী প্রবাসী ফয়েজ আহমেদ এর স্ত্রী সাথে পরকীয়ার শুরু করে।

প্রবাসীর স্ত্রী হেসনে আরা বেগম (৪৫) প্রতারনায় জড়িয়ে অর্থ লেনদেন ও বিভিন্ন সময় ব্যবসার জমি ক্রয় এর কথা বলে লোভ দেখিয়ে প্রায় ২৭ (সাতাইশ) লক্ষ টাকা নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে এই সব টাকার হিসেব নিয়ে ঝামেলা ও কথা কাটা কাটির এক পর্যায়ে লোকজন ঘটনা জেনে যায়।

ফয়েজ আহমেদ দেশে এসে অর্থের হিসাব চাইলে স্ত্রী জাপর কে চাপ দিতে থাকে।

জাপর টাকার হিসাব না দিয়ে উল্টো তাকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে আটক করে রাখে ও তাকে জোর পূর্বক জিম্মি করে বিয়ে করেছে। গত ২৭শে নভেম্বর ২০২২সালে জাফর এর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা দায়ের করা হয়েছে ফেনী আদালতে সিআর মামলা নং ০৬০৩৩৯/২০২২।

পরবর্তীতে সমাজের মধ্যে জানা জানি হলে জাফর অপপ্রচার করে বেড়ায়।
এই ন্যক্কার জনক হীন কর্মের এলাকার লোকজনের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এলাকার সাধারণ মানুষ ভয়ে কেউই মুখ খুলছে না, প্রতিবাদ করতে সাহস করছে না।

গত ২১শে জানুয়ারি ২০২১সালে ফয়েজ আহমেদ এর ছোট ভাই সেকান্তর আলী প্রতিবাদ করলে তাকে জাফরের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আহত করলে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ২৪শে মার্চ ২০২১সালে চিকিৎসা ধীন অবস্থায় ফেনী সদর হাসফাতালে মারা যায়।

এই হত্যা ও জুলুমের বিরুদ্ধে তার ছোট বেন ও মা প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর ও অত্যাচার নির্যাতন হামলা চালায় ঘর বাড়ী ভাংচুর, লুটপাট করেছে যার সাক্ষী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।

পরবর্তীতে ফয়েজ আহমেদ এই সব নির্মম ঘটনা জানতে পেরে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে আসলে তার উপর ও চলে বহু অত্যাচার, হামলা, নির্যাতন। হত্যা ও মামলার ভয় দেখিয়ে বার বার চাঁদা আদায়ের চেষ্টা চালায়। হঠাৎ ঘরে ঢুকে মূল্যবান মালামাল ও নগদ প্রায় দশ লক্ষ অর্থ নিয়ে যায়।
জাপরের নেতৃত্বে আরাফাত,ইমন,সাদ্দাম, সজিব,সরোয়ার, নুরুল আফসার এর বিরুদ্ধে এলাকার তৎকালীন মেম্বার,চেয়ারম্যান,গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে বিচার দিলে কোন বিচার পায়নি।

গত ৫ই আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আওয়ামী জালিম সরকারের পতনের পর পূনরায় এই জুলুমের বিচার চাওয়ার অধিকার ফিরে আসছে বলে মনে করেন ফয়েজ আহমেদ।

এই সকল জুলুম,হত্যা, চাদা,আহত করা,স্ত্রী ভাগিয়ে নেয়া সহ সকল অপকর্মের সুষ্ঠ বিচার দাবী করছেন।
ফেনী মডেল থানায় অভিযোগ ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে।