দ্রুত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্হাপনে স্হানীয় সংসদ সদস্য সহ শিক্ষামন্ত্রী নিকট আকুল আবেদন।
সাইফুল ইসলাম পলাশ-ফেনী থেকে :
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের মধ্যম মঙ্গলকান্দি—উত্তর মঙ্গলকান্দি দু’গ্রামে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শত শত কোমলমতি শিশু। বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব বেশি হওয়ায় শিশুরা স্কুলে যেতে চায় না বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। ফলে এসব শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন তারা। এছাড়াও দু’গ্রামের মানুষের জন্য যে কোন নির্বাচনে রয়েছে একটি ভোটকেন্দ্র। ভোটের সময় আসলে অস্থায়ী বুথ বসেন একটি বেসরকারি মাদ্রাসায়। গ্রাম দুটি'র কোমলমতি শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন স্হানীয় এলাকাবাসী। সরেজমিনে জানা যায়, মধ্যম মঙ্গলকান্দি—উত্তর মঙ্গলকান্দি গ্রাম দুটিতে প্রায় ১ হাজারেরও অধিক পরিবার বসবাস করে আসছেন। সে অনুযায়ী দু’গ্রামে ৫—১০ বছর বয়সী প্রায় ৫ শতাধিক শিশু রয়েছে। এ গ্রাম দুটি থেকে আশপাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দূরত্ব ১.৫—২ কিলোমিটার হওয়ায় শিশুরা স্কুলে অনেহা চরমে।এতে করে নিরক্ষরতা ও শিশু শ্রম বেড়েই চলেছে।
অপরদিকে এ দু’গ্রামের মানুষের জন্য রয়েছে একটি ভোটকেন্দ্র।জাতীয় নির্বাচন থেকে শুরু করে ইউপি নির্বাচনেও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় একটি বেসরকারি মাদ্রাসায়। যেটি দু’গ্রামের এক কোনে অবস্থিত। অস্থায়ী কয়েকটি বুথ বানিয়ে ভোট নেয়া হয়। মঙ্গলকান্দি গ্রামের সাবেক তাকিয়া বাজার উচমানিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে সাবেক শিক্ষক কামাল হোসেন বলেন, এ দু’গ্রামে বিদ্যালয় না থাকায় পার্শ্ববর্তী গ্রামে ১.৫—২ মাইল পায়ে হেঁটে ছেলে—মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে হয়। তাদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে ভয়ে থাকতে হয় কখন কী খবর আসে। তিনি দুই গ্রামের মাঝামাঝি একটি বিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানান। বয়োবৃদ্ধ হোসেন আহাম্মেদ বলেন, এ দু’গ্রামের মানুষের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ভোটের সময় আসলে ভোট হয় একটি বেসরকারি মাদ্রাসায় যেটির অবস্থান দু’গ্রামের এক কোনে। সরকারিভাবে গ্রাম দুটি নিয়ে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের জোর দাবি জানাচ্ছি। মঙ্গলকান্দি (মাধ্যম—উত্তর মঙ্গলকান্দি) ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন বলেন, গ্রামের কোলমতী শিশুদের দুর—দুরান্তে পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতে হয় তার মধ্যে রয়েছে গাড়ীর ভয়, অভিভাবকদের সব সময় শঙ্কিত থাকতে হয় কখন কি হয় তাই অভিভাবকদের শঙ্কা দূর করন এবং স্থায়ী ভোটা কেন্দ্রের প্রয়োজনে এখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানান তিনি।
মঙ্গলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাদল বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিটি খাতের উন্নয়নে অধিকতর গুরুত্ব দিচ্ছে। গ্রাম দু’টি নিয়ে সরকারিভাবে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রয়োজন।
বর্তমান সরকার যখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারা দেশে সকল ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছে সে ধারাবাহিকতায় গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়নে শিক্ষা ব্যবস্হাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিশাল দুটি জনবহুল গ্রামের কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার অগ্রগতির কথা নজরে এনে দ্রুত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্হাপনে স্হানীয় সংসদ সদস্যের দৃষ্টি আর্কষণ সহ মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছেন দুই গ্রামের বাসিন্দারা।