নিজেদের অপরাধ ধামাচাপা দিতে সাংবাদিককে কৌশলে ডেকে নিয়ে লাঞ্ছিত সহ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি : পুলিশ সুপার বলেন এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
এম শাহীন আলম :
গত কয়েক দিন আগে অনুসন্ধানী সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীনের একটি ফেসবুকে স্ট্যাটাস ই নিয়ে খুলনা ডিবি পুলিশের ঘুম হারাম। নিজেদের অপরাধ ধামাচাপা দিতে সাংবাদিককে সু-কৌশলে ডেকে নিয়ে খুলনা ডিবি অফিসের তৃতীয় তলায় রিয়াজ উদ্দীনকে লাঞ্ছিত করে তার দৈনিক পত্রিকার পরিচয়পত্র কেড়ে নেওয়া সহ তাকে মিথ্যা অস্ত্র মামলা ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানেও ডিবি পুলিশের এসআই আলামিন ও এসআই ইউনুস সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীন'কে বার বার মোবাইল ফোনে কল করে হুমকি সহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে বলে সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীন জানান। রিয়াজ উদ্দীন জানান, খুলনা ডিবি পুলিশ আমাকে ডেকে নিয়ে আমার পরিচয় পত্র কেড়ে নিয়ে আমাকে বেশ কয়েকবার গলায় ধাক্কা মেরে জেরা সহ ব্যাপক গারিগালাজ করে আমাকে এবং আমার সাথে যাওয়া আমার এক আত্মীয়কে লাঞ্ছিত করেও ক্ষ্যান্ত হননি।আমি ঢাকা আমার কর্মরত পত্রিকা অফিসে আসার পরও আমাকে ডিবি পুলিশের এস আই আলামিন বার বার তাদের অফিসে যাওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এবং আমি না গেলে আমাকে কিভাবে নিতে হবে সেটা তাদের ভালোই জানা আছে বলে জানান। খুলনা ডিবি পুলিশ আমার কাছে বার বার কৈফিয়ত চাচ্ছে আমি কিসের ভিত্তিতে ফেসবুক স্ট্যাটাসটি দিলাম। আমি তাদেরকে বার বার জানাচ্ছি যে আমার স্ট্যাটাসে তো কারো নাম উল্লেখ নেই তাহলে আপনারা আমার সাথে কেন বার বার কৈফিয়ত চাচ্ছেন। তারা আমাকে বিভিন্ন ভাবে একটার পর একটা হুমকি দমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
ফেসবুকে যে স্ট্যাটাস এর কারণে খুলনা ডিবি পুলিশের ঘুম হারাম তা হলো - " গতকাল রূপসার জাবুসা চৌরাস্তা থেকে মরা গরুর মাংসের মতো ইয়াবা সহ ২ জনকে আটক করে মোটা অংকের টাকা খেয়ে আসামি ছেড়ে দিল এরা কারা? "
খুলনা ডিবি পুলিশের এহেন কার্মকান্ডে জীবনের নিরাপত্তাহীনতা ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওযা হুমকিতে আতংকিত সাংবাদিক রিয়াজউদ্দীন ও তার পরিবার। ডিবি পুলিশে এমন কর্মকান্ডে সঠিক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দেশের চলমান আইনে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী জানাচ্ছেন সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীন ও সাংবাদিক সমাজ। রিয়াজ উদ্দীন বলেন, এতে আমারও যদি কোন অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে আমাকেও শাস্তির আওতায় আনা হউক। খুলনা ডিবি পুলিশে হয়রানী সহ মিথ্যা মামলার হুমকি থেকে রেহাই পেতে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় পুলিশ প্রধানের সু দৃষ্টি আর্কষণ করছে ভুক্তভোগী সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীন।
মুল ঘটনার বিস্তারিত....সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দীন গণমাধ্যমকে জানান, আমি মোঃ রিয়াজ উদ্দিন, পিতা মৃত কোহিনুর লস্কর, মাতা সুফিয়া খাতুন, সাং-বিছট, ৬ নং ওয়ার্ড আনুলিয়া আশাশুনি, সাতক্ষীরা। আমার জাতীয় পরিচয় নং- ১৪৫৩৪৪০৬৩৬। আমি সকল গণমাধ্যমের নিকট লিখিত অভিযোগ জানাইতেছি যে, আমি গত পাঁচ বছর ধরে খুলনা রুপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের জাবুসা এলাকায় বসবাস করিতেছি। অত্র এলাকার ইউপি সদস্য বাবর আলীর বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কর্তন, চাঁদাবাজি, লুটতরাজ, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ সহ একাধিক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে সংবাদ প্রকাশ করায় গত ৮ জানুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে আমার বাড়িতে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে হত্যা চেষ্টা চালায়। তাৎক্ষণিক আমি খুলনা জেলা পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানালে রুপসা থানা পুলিশের সহযোগিতায় রূপসা ঘাট ফাঁড়ির আইছি কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে উক্ত ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেন। পরদিন থানা পুলিশের সু-পরামর্শে পৃথকভাবে জিডি ও অভিযোগ করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ত্রাসীরা আমাকে পুনরায় হত্যার চেষ্টা করলে জীবন বাঁচাতে আমি খুলনা নগরীতে বাসা বসবাস শুরু করি। আমার করা জিডি বর্তমানে খুলনা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তারপরও সন্ত্রাসী বাহিনীরা আমার পিছু ছাড়ছে না। তারা বিভিন্ন কায়দায় আমাকে মিথ্যা মামলা ও হামলা করে হয়রানি করে আসছে।গত সপ্তাহ দুয়েক আগে পুলিশের হয়রানীর ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাবুসা এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, আমার বাড়ির পাশে চার ড্রাম মরা গরুর মাংস বহনকালে খুলনা জেলা পুলিশ হাতে একজন আটক হয়। কিন্তু এক থেকে দেড় লক্ষ টাকার বিনিময়ে আল মামুন নামের এক মাদক সেবীকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। কথাটি জানাজানি হলে আমাকে বেধড়ক মারধর করে আমি খুলনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছি বলে জানান রবি বিহারী নামের এক লোক। সর্বশেষ গত ১৫/০৪/২৪ ইং তারিখে খুলনা জেলা ডিবি পুলিশ স্থানীয় চৌরাস্তা বালুর মাঠে বিকেলে গিয়ে তল্লাশি করে তিনজনের কাছ থেকে কয়েক পিছ মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট পেয়ে তাদেরকে কয়েক ঘণ্টা বালুর মাঠে আটক রেখে রফা করে টাকার বিনিময় ছেড়ে দিয়েছে এমন তথ্য স্হানীয় একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে জানা যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় মৃত জহর আলীর ছেলে মোঃ সোহেল উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, আসলামের চায়ের দোকানে বসে ৪-৫ জন সাক্ষীর সামনে পূর্ব পাড়ার শহীদ শেখের ছেলে শায়কুল শেখ বলেছে অনেক কষ্ট করে তাদেরকে ডিবির কাছ থেকে ছাড়িয়ে এনেছি। অবশ্য সাইকুল শেখ এর সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি বিষয়টা এড়িয়ে যান। স্থানীয় মৃত শেরমান শেখের ছেলে ঈশা শেখ বলেন, এরা সবাই একসাথে প্রতিদিন নেশা করে। নেশা দ্রব্যর সাথে এরা সবাই সম্পৃক্ত। মাদক ব্যবসায়ী ফয়সাল এদের নিয়ন্ত্রণ করে। কেউ ভয়ে কথা বলতে চায় না। মৃত নেয়ামত উল্লাহ শেখের ছেলে বেনজির শেখ বলেন, ইমলাখ শেখের ছেলে সহ এরা সবাই একসাথে বেচা কেনা করে। এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি। এ বিষয়ে হবি শেখের ছেলে সুমন শেখ বলেন, ডিবি পুলিশ তিনজনের কাছ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট পেয়ে টাকা খেয়ে ছেড়ে দিয়েছে। ঘটনাটি চৌরাস্তায় ঘটেছে বলে একাধিক মানুষের কাছ থেকে শুনতে পেলাম। এমন আরো একাধিক লোকের কাছ থেকে জানতে পেয়ে আমি কোন বাহিনী বা সংস্থার কারো নাম উল্লেখ না করে ঐদিন রাতেই আমি আমার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিই। স্ট্যাটাস টি ছিল"গতকাল রূপসার জাবুসা চৌরাস্তা থেকে মরা গরুর মাংসের মতো ইয়াবা সহ ২ জনকে আটক করে মোটা অংকের টাকা খেয়ে আসামি ছেড়ে দিল এরা কারা????" উল্লেখ্য যেহেতু একাধিক লোকের ভাষ্য অনুযায়ী তিনজনই ছিল এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রনি শেখ, ফয়সাল শেখ, জিয়া মোল্লা, রাজু শেখের ছত্রছায়া থাকা মাদক বহনকারী। এদের মধ্যে স্থানীয় ইম্লাক শেখের ছেলে কামাল শেখ (২৪), নজরুল শেখের ছেলে আলামিন শেখ (২৫) ও কালাম গাজীর ছেলে বাবু গাজী (২৪)। তারা তিনজনই কেএমপির লবণচরা থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট কিনে আনতে বলে রাস্তায় থাকা ডিবি পুলিশ কে দিয়ে ধরিয়ে দেয় পরক্ষণে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে টাকার বিনিময়ে তাদেরকে ছাড়িয়ে রাখে। এ সংবাদটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় । পরদিন সকালে খুলনা ডিবি পুলিশের এএসআই রাজকুমার আমার মুঠোফোন ও ওয়ার্টসঅ্যাপ এ কল দিয়ে কেসিসি মার্কেটে দেখা করার আকুতি জানায়। আমি দেখা না করার জন্য অনুরোধ করলে একপর্যায়ে আমাকে হুমকি দিয়ে থাকে। আমি সন্ধ্যাবেলায় আসার কথা বললে তিনি ফোনটি রেখে দেন। সন্ধ্যায় আমার সাথে থাকা সুমন শেখ কে ফোন দিয়ে আমি কেসিসি মার্কেটের সামনে যে দেখা করি। দেখা করা মাত্রই আমাদেরকে চা খাইতে বলেন। চা খাইতে না খাইতে পাশে থেকে একাধিক সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ হাজির হন। চা খাওয়া শেষ না হইতেই তারা বিভিন্ন ভাবে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। এক পর্যায়ে ওসি সাহেবের কথা বলে আমাদেরকে এসপি অফিসের তৃতীয় তলায় নিয়ে আটকিয়ে রেখে মারধর করার পরিকল্পনা করেন এবং আমাকে একাধিকবার গলায় ধাক্কা দিয়ে গালিগালাজ করে জানতে চায় আমি কিসের ভিত্তিতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছি কেন দিয়েছি বলে খুলনা ডিবি পুলিশে একাধিক সদস্য চেঁছামেছিঁ করে মিথ্যা অস্ত্র মামলা দিয়ে ফাঁসাবে বলে হুমকি দিতে থাকে। ওসি সাহেবের সাথে কথা বলে সেখান থেকে এসপি অফিসের সামনে বামপাশে একাধিক ডিবি পুলিশ আমাকে বিভিন্ন কায়দায় মারধর করার হুমকি-প্রদানসহ ভয় ভীতি দেখায়। আমার কাছে থাকা সাংবাদিকতার দুটি কার্ড জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও জাতীয় দৈনিক ঘোষণা পত্রিকার কার্ড দুটি বাজেয়াপ্ত করেন। ঘটনার সময় ডিবি পুলিশের ওসি আসা মাত্রই আমাকে বলেন, কুত্তার বাচ্চা হাড্ডিগুড্ডি ভেঙ্গে পুঙ্গার মধ্যে দিয়ে অস্ত্র দিয়ে চালান দিয়ে দেবো। এই তুই কিসের সাংবাদিক তোর শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটুকু। তুই একটা ভুয়া সাংবাদিক তোর মতন সাংবাদিক আমার লাগেনা। খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি সেক্রেটারি আমারে ভাই ভাই করে। তুই কেন এমপি রাহুল অধিকারের বিরুদ্ধে নিউজ করিস? কেউ এমন নিউজ করে না তুই কেন করিস? বিভিন্ন কায়দায় ষষ্ঠ শ্রেণির আদু ভাইয়ের গল্প শোনায়। অনেক কাকুতি মিনতি করার পর আগামীকাল তোর কে কার্ড দিয়েছে আর সাংবাদিক নেতাদের কাছে জেনে তারপরে তোর দেখাচ্ছি মজা। পাশে থাকা এসআই আলামিন বলেন, জাবুসা কেন পুরো খুলনায় আমার লোক আছে আমি যদি চিন্তা করি তুই শেষ হয়ে যাবি আমার লোকেরা তোকে জানে মেরে ফেলবে। কেন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ওখানে আমি গিয়েছিলাম অভিযান আমরা করেছি তাতে কি হয়েছে,তোর কি সমস্যা। আমরা অপরাধ করলেও ওদের বাপেরও সাহস নেই আমাদের কথা বলার। কামাল কে ধরে ছেড়ে দিয়েছি তাতে তোর সমস্যা কি? তুই নেতাকর্মি বা স্থানীয় লোকজনের পেছনে কেন লাগিস? কেন নিউজ করবি এটা বল? তোকে কে তথ্য দিয়েছে এটা বল। আগামীকাল তোর লোকজন নিয়ে এসে তথ্য প্রমাণ দিয়ে কার্ড নিয়ে যাবি। তোর বিরুদ্ধে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান, পিবিআই, সিআইডি, কোর্স গার্ড সকলকে লাগিয়ে দেব। তোর কোথা থেকে কি করে দেই সেটা শুধু দেখতে থাক। আমার সাথে থাকা সুমন সে তাদের পায়ে জড়িয়ে বারবার কাকুতি মিনতি করলেও অশ্লীল ভাষায় মা বাবা তুলে তাকে গালিগালাজ করতে দেখা যায়। তোর খবর আছে পৃথিবীর যেখানেই থাকুক তার জীবন শেষ করে দেবে এমনটাই তাদের ভাষ্য ছিল। আমাকে খুলনা ডিবি অফিসের ৩ তলায় ডেকে নিয়ে লাঞ্ছিত করে আমার দুইটি পত্রিকার আইডি কার্ড রেখে আমাকে সাক্ষী প্রমাণ সহ তাদের সাথে গত ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭ টার দিকে দেখা করার কথা বলেন। আমি জরুরী কাজে আমার ঢাকা অফিসে থাকায় আমি ডিবি পুলিশের এস আই আলামিন কে ফোন করলে তিনি বলেন, আপনাকে না বলেছি আপনি সরাসরি আমাদের খুলনা ডিবি অফিসে আসবেন।আসবেন কিনা বলুন,না আসলে কিভাবে আপনাকে বের করে আনতে হবে সেটাও আমাদের জানা আছে বলে ডিবি পুলিশের এস আই আলামিন কথা বলার এক পর্যায়ে অপরাধ বিচিত্রায় বিশেষ প্রতিনিধি সাংবাদিক এম শাহীন আলম কে সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন অনুরোধ করেন ডিবি পুলিশের এস আই আলামিনের সাথে কথা বলতে,তখন সাংবাদিক শাহীন এসআই আলামিনের সাথে কথা বলার সময় আলামিন বলেন রিয়াজ'কে ওসি স্যার আমাদের অফিসে আসার কথা বলছিল সাংবাদিক শাহীন বললো রিয়াজকে তো একবার কৌশলে ডেকে নিয়ে লাঞ্ছিত সহ বহু হমকি ধমকি দিযেছেন এখন আবার তাকে ফোন দিয়ে কেন ডাকছেন, রিয়াজ যদি আইনের পরিপন্হি কোন কাজ করে থাকে তাহলে আপনারা তার বিরুদ্ধে চলমান আইনে মামলা করে দেন। এস আই আলামিন আবার বলতে থাকে ওসি স্যার তাকে ডাকছে আমাদের অফিসে আসার জন্য তখন সাংবাদিক শাহীন এস আই আলামিনকে বলেন আপনি তো এখনো ওসি সাহেবকে নিয়ে পড়ে আছেন আমরা তো এই বিষয়ে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় পুলিশ প্রধানকে আপনাদের এসব আচরনের বিষয়ে অবগত করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। তার কিছুক্ষণ পরে সাংবাদিক রিয়াজের মোবাইলে এসআই ইউনুস পরিচয়দানকারী একজন ফোন দিয়ে বলেন, রিয়াজ শাহীন কে বলেন তিনি নাকি আমাদের অফিসারকে থ্র্যান্ট দে শাহীনের বাবার নাম কি তার বিস্তারিত দেন। তখন রিয়াজের নিকট উপস্হিত থাকা সাংবাদিক শাহীন রিয়াজ উদ্দীনে মোবাইলে ডিবির এস আই ইমরুল করিম নিকট বলেন,ভাই আপনি আমার পরিচয় জানতে হবে না আমি আমার মতিঝিল অফিসে আছি আপনি আপনার লোক পাঠান। আর রিয়াজকে এতোবার ফোন দিয়ে হুমকি দমকি দিচ্ছেন কেন? হুমকি দমকি না দিয়ে যদি রিয়াজ ফেসবুকে কোন বেআইনি পোস্ট দিয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা দেন।
পরোক্ষনে খুলনা পুলিশ সুপারকে পুরো বিষয়টি অবগত করলে তিনি এ বিষয়টি কিছুই জানেন না বলে ফোন কলটি তিনি কেটে দেন।
প্রশ্ন হলো যেখানে কারো নাম বা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ না করে ফেসবুকে মাত্র একটি স্ট্যাটাসে খুলনা ডিবি পুলিশের এতো গা জ্বালা সহ ঘুম হারাম কেন? তাহলে কি তারা সত্যিই অপরাধী। তা না হলে সাংবাদিকের সাথে তাদের এমন আক্রমনাত্তক আচরন কেন? খুলনা ডিবি পুলিশ তারা আসলে কি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে সাংবাদিককে লাঞ্ছিত সহ মিথ্যা মামলার হুমকি দমকি দিয়ে সাংবাদিকের কল রোধ করতে চাচ্ছে? যেখানে ডিবি পুলিশের কাছে একজন পেশাদার সাংবাদিকের নিরাপত্তা নেই সেখানে সাধারন মানুষের নিরাপত্তা কোথায় সেই প্রশ্নই থেকে যায়।
অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে আরো বিস্তারিত ধারাবাহিক ভাবে নিউজ চলবে।