মতিন খন্দকার টিটু :
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি আজও জেগে আছে, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর নির্বিঘ্নে চালাচ্ছে সন্ত্রাসী হামলা। বাংলার বুকে এখনো জেগে আছে লাখো রাজাকার। বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের সিংহের সিমলা নামক এলাকায় দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়। স্বাধীনতা বিরোধী সশস্ত্র এ হামলাকারীদের আক্রমনে মুক্তিযুদ্ধ স্ব-পাক্ষিক আওয়ামী পরিবারের সন্তান আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দানবীর খ্যাত মোঃ সাইফুল ইসলাম খান ও তার ফুপাতো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুস সাত্তার আহত হন। হামলায় আহত ব্যাক্তিদয় ও তাদের পরিবারের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা যায় গত ১০ই জানুয়ারি ২১ইং রবিবার আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সাইফুল ইসলাম কর্মব্যস্ততার ফাকে প্রতিদিনের ন্যায় সিংহের সিমলা বাজারে সকলের সাথে কুশল বিনিময়ের জন্য যান, সাথে ছিলো তার ফুপাতো ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার, হামলাকারীরা ৩০-৩৫ জন পূর্বের পরিকল্পনা মাফিক আধুনিক ভারি অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রামদা, ষ্টীলের পাইপ,চাপাতি ও আগ্নেঅস্ত্র দিয়ে সাইফুল ইসলাম ও তার ফুপাতো ভাই আব্দুস সাত্তার এর উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করে এতে সাইফুল ইসলাম ও তার ফুপাতো ভাই আব্দুস সাত্তার গুরুতর আহত হন। আহত দুই জনের মধ্যে সাইফুল ইসলামের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয় এবং এরপর তাকে অর্থ-সার্জারী বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষদের সূত্রে জানা যায় সাইফুল ইসলামের ডান পায়ের হাড় ফেটে গেছে এবং বুকের বাম পাশ সহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লেগেছে, তবে আপাতত তিনি আশংকা মুক্ত, এবং আরেকজন আহত আব্দুস সাত্তার কে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। হামলার স্বীকার হওয়া দুইজনই হামলাকারীদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুস সাত্তার গনমাধ্যমকে জানান, হামলাকারীদের পরিবারের বেশ কয়েকজন স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী হওয়ায় রাজাকারের নতুন তালিকায় তাদের নাম প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর এই নামের তালিকা তৈরি করতে মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীদেরকে আমার মামাতো ভাই স্বাধীনতা স্ব-পাক্ষিক ও ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ সাইফুল ইসলাম সার্বিক সহযোগিতা করেন। স্বাধীনতার বিপক্ষ এই রাজাকারদের সুস্থ বিচারের দাবী জানানোই সাইফুল ও আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। আহত সাইফুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধা ও স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলায়, রাজাকারের তালিকা তৈরিতে সহযোগিতা করাতেই ওরা আমার উপর পরিকল্পিত ভাবে হামলা করেছে। আমি সুখে-দুঃখে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে চাই, আমার জনপ্রিয়তা, জনগনের আমার প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা দেখে ওরা হিংসায় বশির্ভূত হয়ে এ হামলা চালিয়েছে। আহত সাইফুল ইসলাম ও আব্দুস সাত্তার জানান, সিংহের সিমলা গ্রামের জয়নাল আবেদীন জনু রাজাকার, জনুর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক(৪৭), দুইটি মার্ডার মামলার জামিনে থাকা আসামী আকতার, একই এলাকার আব্দুস ছালাম (৫৫) এই হামলার মূল হোতা। এছাড়াও একই গ্রামের মৃত আব্দুস সবুর শেখের ছেলে আলম (৪৫), আব্দুস সালামের ছেলে আরিফ (২৭), আব্দুস সালামের ছোট ভাই আজিজুল শেখ (৪৩), আঃ সালামের স্ত্রী নাজমা (৪৮), মেয়ে বৃষ্টি (২৩), আলমের ছেলে ইমন (২১) ও মুন্না(২৪), রাজাকার জনুর ছেলে সিরাজ (৫২), সিরাজের ছেলে ফিরোজ (১৯), আঃ রাজ্জাকের ছেলে আল-রাব্বি (১৯), সিংহের সিমলা দক্ষিণ পাড়ার মৃত জলধর বসাকের ছেলে জগন্নাথ বসাক (৬৭) ও বলরাম বসাক (৬২), জগন্নাথের ছেলে শ্যাম (৩৯) সহ অজ্ঞাত ১৪-১৫ জন এ সশস্ত্র হামলায় অংশ নেয়। এলাকাবাসী জানান সাইফুল ইসলাম আওয়ামী পরিবারের একজন পরিক্ষিত মুজিব সৈনিক, তার সততা, মানবতা, এবং আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তায় ঈর্ষানিত হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী কিছু নরপিশাচরা সাইফুল ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তারের উপর হামলা চালায়। এলাকাবাসী হামলাকারীদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও বিচারের দাবী জানান। এ হামলার সাথে জরিত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে গত ১১ই জানুয়ারি সোমবার বিকেল ৫টায় সাইফুল ইসলামের জামাতা ও আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার শেরপুর থানায় উপস্থিত হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। হামলার স্বীকার ভুক্তভোগীগনের পরিবার ও এলাকাবাসী হামলাকারীরদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এব্যপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শহিদুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন একটা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।