Doinik Bangla Khobor

বগুড়ার কালুডাঙ্গায় তিন বছরের অবৈধ সম্পর্ক বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন

মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের কালুডাঙ্গায় তিন বছরের অবৈধ সম্পর্ক পূর্ণতা দিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকা আমরন অনশন শুরু করেছেন। শুক্রবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উল্লেখিত কালুডাঙ্গার আমজাদ হোসেনের পুত্র আবুল কালাম আজাদ-এর বাড়িতে গত দুই দিন ধরে প্রতিবেশি প্রবাসীর স্ত্রী ধনঞ্জয় গ্রামের ইউনুস আলী মন্ডলের মেয়ে মাহমুদা বিয়ের দাবিতে আমরন অনশন করছেন। ঘটনাস্থলে দেখা যায় আবুল কালাম আজাদ-এর ফুফু ভাত নিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন মাহমুদাকে। কিন্তু মাহমুদা বাড়ির বাহিরে নয় বাড়ির ভেতরে নিয়ে বউয়ের মর্যাদা দিয়ে খাওয়ালে খাবেন বলে জানান। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের মাহমুদা বলেন, ২০১৭ সাল থেকে বিয়ের প্রলোভনে তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে এবং অবৈধভাবে তাদের শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে আবুল কালাম আজাদ। এসময় আবুল কালাম আজাদ বগুড়া জামিল মাদ্রায় নিয়ে নিজে নিজে বিয়ে হয় শরিয়া মোতাবেক বলে কবুল করে নেয়। কিন্তু সরকারীভাবে রেজিস্ট্রির কথা বললে আজাদ বলে সরকালের আইনে নয় আল্লাহর আইনে বিয়ে হয়েছে। এভাবে তারা দীর্ঘ ৩ বছর সম্পর্ক চালিয়ে যায়। একসময় তার স্বামী প্রবাসী কালামের প্রতিবেশি জোব্বার মোল্লার পুত্র জুয়েলের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ছিন্ন হয় বলে জানান মাহমুদা। এসময় বিয়ের দাবি করলে আবুল কালাম আজাদ বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এভাবে চলতে চলতে বুধবার দুপুরে তারা দুজনে একত্র হয়ে আবুল কালাম আজাদ-এর বাড়িতে অবস্থান নেয়। একসময় আবুল কালাম আজাদ পরিবারের চাপে মাহমুদাকে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে মাহমুদাকে কোন অভিযোগ ছাড়াই পুলিশ বাড়ি থেকে টেনে হেচড়ে বের করে দেয় বলে মাহমুদা জানান। এসময় মাহমুদা আমরন অনশনে বাড়ির বাহিরে অবস্থান নেয়। এদিকে মাহমুদার পিতা ইউনুস আলী মন্ডল জানান, কালামের কারণে তার মেয়ের সংসার ভেঙ্গেছে। এখন সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই। যদি না পাই তবে মামলা করবো। এদিকে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাবের রেজা করোনা ভাইরাসের কারণে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা না করে ফোনে কথা বলেন। এসময় তিনি জানান, নারী ও শিশু ডেস্ক হেলপ এর অফিসার এ এস আই রোজিনা আক্তার গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে এসেছেন। তবে তার পরিবার অভিযোগ দিলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।