মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় জ্বর, কাশি ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু (৪৫) হয়েছে। খবর পাওয়ার পর শিবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন থেকে আশপাশের ১০টি বাড়ি লকডাউন করে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করেছে।
মৃত বক্তির লালা, কফ, কাঁশির নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা এই মৃত্যুকে করোনাভাইরাস কারণে বলে সন্দেহ করছেন।
বগুড়া জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, কাহালু উপজেলার মুরইল গ্রামের মাসুদ রানা ঢাকার কাশিম বাজারে ব্যবসা করতেন। তার স্ত্রী সাজেদা বেগম বগুড়ার বেসরকারি একটি এনজিও সংস্থায় কর্মরত আছেন। স্ত্রী চাকরির কারণে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ময়দানহাটা ইউনিয়নের মহব্বত নন্দীপুর গ্রামে ৮ বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। গত ২৪ মার্চ সাধারণ ছুটির আগের দিনে জ্বর নিয়ে ঢাকায় থেকে ফিরে স্ত্রীর ভাড়া বাসা শিবগঞ্জ চলে যায় মাসুদ। বাড়ি ফেরার পর তার জ্বর, সর্দি কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধ সেবন করেন। এ অবস্থায় শনিবার ভোররাতে তিনি মারা যান। মাসুদ রানার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী করোনাভাইরাস সংক্রান্ত হট লাইনে ফোন করে ডা. শফিক আমিন কাজলকে বিষয়টি জানান। এরপর শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মোরতজা আব্দুল হাই শামীম শনিবার সকাল ১০ টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাসুদকে মৃত ঘোষণা করে।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, আমরা ইতিমধ্যে ঢাকায় কথা বলেছি। মৃতদেহ থেকে নমুনা হিসেবে লালা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠানো হচ্ছে। তার মধ্যে করোনা ভাইরাস এর উপসর্গ আছে। কিন্তু পরীক্ষা না করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবীর জানান, ওই বাড়িসহ পার্শ্ববর্তী ১০ টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সদস্য রয়েছে। আপাতত এই বাড়িগুলোর কোন সদস্য যেন কারো সাথে মেলামেশা করতে না পারে। মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। লাশ দাফনের সময় পিপিই পরে যাবে স্বাস্থ্যকর্মীরা।
বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, লকডাউনকৃত দশটি বাড়ির সামনে পুলিশ সদস্য রয়েছে। বাড়ির সদস্যদের সাথে বাহিরের কেউ যেন মিশতে না পারে এবং তারাও যেন কারো সাথে না মেশে সে বিষয়ে সতর্ক করে রাখা হয়েছে।