মতিন খন্দকার টিটু :
ড্রাগ লইসেন্স নেই। ব্লাড ব্যাংকেরও কোন অনুমোদন নেই। ৬৯৫ টাকার ঔষধের দাম নেয়া হচ্ছে ২৩৩০ টাকা। দোকানের ভেতরেই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এমন এক ঔষধের দোকানে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। শনিবার (০৯-০৫-২০) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এটিএম কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। তাকে সহযোগিতা করেন বগুড়া ঔষধ প্রশাসনের সহ- পরিচালক আহসান হাবিব, পৌরসভার সেনেটারি ইন্সপেক্টর শাহ আলী খান। অভিযানে ঘটনাস্থলেই আদালত বসিয়ে ওই দোকানের ৩ কর্মচারীতে ঔষধ আইনে ৩ মাস করে কারাদন্ড দেয়া হয়। এছাড়াও এই আদালত শহরের বৃন্দাবনপাড়ায় সুমা লাচ্ছা কারখানায় অভিযান চালিয়ে ভোক্তা অধিকার আইনে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এটিএম কামরুল ইসলাম জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বর্ষন মেডিসিন এন্ড সার্জিক্যালে অভিযান চালানো হয়। সেখানে গিয়ে দেখাযায় তাদের ডাগ লাইসেন্স নেই, ঔষধের মেয়াদ ও দাম লেখার জায়গায় টেম্পারিং করা, ব্লাড ব্যাংকের কোন অনুমোদন নেই, বাজার মূল্যের ৬৯৫ টাকার ঔষধের দাম নিয়েছে ২৩৩০ টাকা, ক্রেতাদেরকে জিম্মিকরে ঔষধের দামবেশী নেয়া হয়, দোকানের ভেতরেই মাদক সেবনের সরঞ্জাম। এমন সব অনিয়মের প্রমান পাওয়ায় ওই দোকানের ৩ কর্মচারীকে ঔষধ আইনে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এরা হলেন, বগুড়া শহরের মালগ্রামের ফয়সাল শেখের ছেলে সুমন শেখ (২৪), খান্দারের নেপাল চন্দ্রের ছেলে নিহারঞ্জন দাস পলাশ (২৮) ও শাজাহানপুরের সায়েমের ছেলে রাসেল (২০)। এসময় ওই দোকানে তালা লাগিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরকে চাবি হস্তান্তর করতে ও ওই দোকানের বিদ্যুতের লাই বিচ্ছিন্ন করার জন্য বলা হয়েছে। অভিযানে ওই দোকান থেকে ৫০ হাজার টাকার ঔষধ জব্দ করে তা ধ্বংস করা হয়।