মুহাম্মদ মতিন খন্দকার টিটুু :
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে বগুড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা ও অটোরিকশার গ্যারেজ সিলগালা করা হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর ও শেরপুর উপজেলায় পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৭ মামলায় ২০হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মো. আজিজুর রহমান। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় গণপরিবহণ ও খাবার হোটেলে জরিমানা করেন তিনি। একই অপরাধে আরেক অভিযানে ৫টি মামলায় ১৭হাজার ৫০০টাকা অর্থদণ্ড দেন সহকারী কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাছিম রেজা ও মো. তাসনিমুজ্জামান। এ সময় ৬টি অটোরিকশা গ্যারেজ সিলাগালা করা হয়। নির্দেশনা অম্যান্য করে খাবার হোটেল পরিচালনা ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বাইরে ঘোরঘুরি করায় শেরপুর উপজেলায় ৭জনের ২হাজার ৮০০টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরমধ্যে এক হোটেল কতৃপক্ষকে ১০০০হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মো. লিয়াকত আলী সেখ। পৃথক অভিযানে শেরপুর উপজেলায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিন ৬জনকে ১হাজার ৮০০টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ওই ৬জন বাইরে ঘোরঘুরি করছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতে মোট ৪০ হাজার ৩০০টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এসব অভিযানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিন বলেন, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে শেরপুর উপজেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলার ইউএনও আজিজুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ও লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনের এ অভিযান জোরালোভাবে অব্যাহত থাকবে।