মতিন খন্দকার টিটু :
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাড়ি ফেরার পথে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কেই বুধবার প্রাণ গেছে ৮ জনের। বুধবার ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান এই ৮ জন। এসব দুর্ঘটনায় আহত আরও ৮ জন এখনো বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দুপুরে লবণবোঝাই ট্রাকে চেপে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ৬ শ্রমজীবী।
পশ্চিমাঞ্চল হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক ইয়ামিন উদ দৌলা কর্তৃক জানা যায়, ঢাকা শহরে চলাচলকারী লাব্বাইক পরিবহণের একটি বাস বগুড়ায় যাত্রী নামিয়ে আবারো ঢাকার পথে যাচ্ছিলো। দুপুর ১২টার দিকে বাসটি শেরপুর উপজেলার ঘোগা বটতলা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিকে থেকে আসা লবণবোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাকটি উল্টে বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এসময় ট্রাকে থাকা লবণের বস্তায় চাপা পড়ে মারা যান ৪ জন। গুরুতর আহত ১০ জনকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর বিকেল পর্যন্ত সেখানে মারা যান আরও দু’জন। বাকি ৮ জন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গতকাল রাতে ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ১৭ জন শ্রমজীবী মানুষ বাড়ি ফেরার জন্য লবণবোঝাই ট্রাকটিতে ওঠেন। তারা ট্রাকে বস্তার ওপরে বসেই উত্তরাঞ্চলের দিকে আসছিলেন। তাদের বেশির ভাগের বাড়ি পাশের জয়পুরহাট ও রংপুর জেলায়। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি-বেসরকারি ছুটি ঘোষণার পর তারা ট্রাকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন।
এদিকে, বিকেল ৪টার দিকে একই মহাসড়কের ধনকুন্ডি এলাকায় উত্তরাঞ্চলগামী মাইক্রোবাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে প্রাণ গেছে একজনের। নিহত ব্যক্তি মাইক্রোবাসের চালক বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে ভোর ৬টার দিকে এই মহাসড়কের মহিপুর এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে আসা লবণবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ঢাকামুখী পাথর বোঝাই ট্রাকের। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান চট্টগ্রামে কর্মরত জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার মৃদুল নামের এক তরুণ।