বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :
বগুড়ায় শহরের তিনমাথায় ভূমিদস্যু আলী হাসানের বাড়ীর সামনে ঢাকা রংপুর রোডে শুক্রবার সকাল ১১টায় শহরের পুরান বগুড়ার প্রায় ৩ শতাধিক ভুক্তভোগী এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে ভূমিদস্যু আলী হাসানের বিরুদ্ধে বিশাল মানববন্ধন করেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভূমি দস্যু আলী হাসানের, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে দখল করছে জমি, নির্মাণ করছে ভবন সহ নানান স্থাপনা। রাতারাতি ট্রাক হেলপার থেকে বনে গেছেন শত কোটি টাকার মালিক। গড়ে তুলেছে বাড়ী, গাড়ী, তেলের পাম্প (আলী হাসান ফিলিং স্টেশন), পুরান বগুড়ায় দখল করে নিয়েছে কয়েক একর জমি, কিনেছেন ট্রাক, ট্যাংক লরি সহ অনেক কিছু। গড়ে তুলেছেন, ব্যক্তিগত ভূমি দস্যু বাহিনী। নাম ভাঙ্গছে বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তার। তার অত্যচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ১৫ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি আবদুল রাজ্জাক, বগুড়া সদরের শিকারপুরের মতিয়ার রহমান মন্টু খান্দার মালগ্রামের নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু কামার, মমিনুর ইসলামসহ আরো অনেক।
জানা গেছে বগুড়া সদরের শিকারপুরের বাসিন্দা মতিয়ার রহমান ও খান্দার মালগ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু কামার এর সাথে পুরান বগুড়ার আলী হাসানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা দখল সংক্রান্ত ঝামেলা চলে আসছে। উপরোক্ত বাদী দুই জনের ২০ এবং ১০ মোট ৩০ শতাংশ জায়গা যার বর্ননা জেএল নং- ১২৩, খতিয়ান নং- ১২২, দাগ নং-৮৭৪ এবং অপর ১৮ এর ১০ শতাংশ জায়গার, জেএল নং-১২৩, সি এস খতিয়ান নং- ৯২, দাগ নং-৮৮৮, উভয়ের জমির মৌজা- পুরান বগুড়া।
দীর্ঘদীন যাবৎ এই জায়গা গুলোর মালিকানা দাবী করে আসছে উভয় পক্ষ, দীর্ঘদিন হলো কোর্টে মামলা চলে আসছে এই জায়গা গুলোর এবং কোর্ট থেকে ঐ ২০ শতাংশ জমির উপর আদালত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। আরেক জায়গার মালিক নুরু কামারের ১০ শতাংশ জায়গাও কোর্টে মামলাধীন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আলী হাসান জোর পুর্বক স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সদর থানা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আলী হাসান জোর পুর্বক ঐ জায়গা গুলোতে তার নিজস্ব ভূমিদস্যু বাহিনী দিয়ে রাতের আঁধারে কাজ করতে থাকলে, বাদী মতিয়ার রহমান মন্টু, ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস চারমাথায়, কাউন্সিলর আমিনুর ইসলামের কাছে একটি লিখিত আকারে অভিযোগ প্রদান করেন। তাৎক্ষনিক বিবাদী আলী হাসানকে ওয়ার্ড অফিসে ডেকে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখার নিদের্শ দেন। কিন্তু আলী হাসান, কাউন্সিলর ও আদালতের কোন কথা না মেনেই অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখেন। এ ব্যাপারে আবার মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে আলী হাসান কে আসামি করে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আলী হাসান এর বিরুদ্ধে সদর থানায় আকেকটি জিডি দায়ের করেছেন শহরের পুরান বগুড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ফেরদৌসী খাতুন। আলী হাসান কে অভিযুক্ত করে পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে গত ০৬/১০/২০২০ইং তারিখে বগুড়া সদর থানায় একটি জিডি করে। জিডি নং-(৩৩১) ফেরদৌসী জিডিতে অভিযোগ করছেন বিবাদী হাসান পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে ও তার পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ, বাড়ীতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে, বাড়ী মুল প্রবেশদ্বার গেইটে লাথি সহ প্রাণনাশের হুমকি এবং বিভিন্ন ভাবে দীর্ঘদিন ধরে ভয়-ভীতি প্রদান করে আসছেন। এতে করে ফেরদৌসী ভূমিদস্যু আলী হাসানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন এবিষয়ে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী আরো জানান, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলেই, শুনতে হয় নানান ধরনের হুমকি ধামকি ও আলী হাসান পুলিশি দিয়ে হয়রানির হুমকি ধামকি প্রদান করে এবং বলে বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ন কবির আমার ধর্ম ভাই, কিছু বললেই ওসি সাহেবের গরম দেখায়। আমরা এলাকাবাসী, আলী হাসানের হুমকির ভয়ে মূখ খুলতে পারি না।