বগুড়ায় সাংবাদিক সজলের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবীতে মানব-বন্ধন

অপরাধ

বগুড়া জেলা প্রতিনিধি :
বগুড়া সদরের বারপুর উত্তর পাড়ার সজল নিত্যালয়ের পরিচালক মহাস্থান প্রেস ক্লাবের নবগঠিত কমিটির সদস্য ও নিশিন্দারা ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং এর সেক্রেটারী হাবিবুর রহমানের পুত্র সাংবাদিক সাফায়াত সজল এলাকার সাধারণ লোকজনকে জিম্মি করে বিভিন্ন সময় পুলিশের ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে আসছিল। তার চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারায় এলাকার সাধারন লোকজনদেরকে বিভিন্ন ভাবে জিম্মি করে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশে হয়রানি করে আসছিল। বারপুর উত্তরপাড়া গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মৃত সালিকের পুত্র আবুল কালাম নয়ন জানান সে গ্রামের সাধারণ লোকজনদেরকে বিভিন্ন সময়ে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ভয় দেখিয়ে এবং সাংবাদিকের পরিচয় দিয়ে টাকা দাবি করে আসছিল। এলাকার সাধারণ জনগণ খেটে খাওয়া মানুষ এবং ব্যবসা বাণিজ্য করে বাড়িতে ঝগড়া বিবাদ লাগলেও সেখানে সে হাজির হয়ে বিপক্ষ দলকে সঙ্গে নিয়ে থানায় গিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে এবং বেশি লোকজনকে আসামি করে। পরবর্তীতে আসামিদের সাথে গোপনে যোগাযোগ করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে এভাবে সে মানুষদেরকে সর্বস্বান্ত করছে। মানববন্ধনে উপস্থিত সারওয়ার হোসেনের স্ত্রী মেরিনা বেগম জানান আমার পারিবারিক ঝগড়াকে কেন্দ্র করে সে আমার পরিবারের অন্য সদস্যদেরকে থানায় নিয়ে গিয়ে অভিযোগ দিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করে। অভিযোগকারিণী আজমল হোসানের স্ত্রী জরিনা বেগম জানান সজল আমার কাছ থেকে সুবিচার পাইয়ে দেওয়ার নামে মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করেছে। এলাকার মাকসুদা নামে একজন বিধবা মহিলা জানান সে আমার নামে আসা পাঁচশো টাকা সজল আত্মসাৎ করেছে। তাকে বললে সে বলে ঐ টাকা তোমার নামে নয় আমার নাম এসেছে। রুহুল আমিনের স্ত্রী হাসু বিবি জানান সে আমার স্বামীকে ভুলিয়ে তার সাথে নিয়ে অন্যান্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক তৈরী করে দিয়ে আমাদের সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করেছে। তাকে ধরনের কাজকর্ম না করতে বললে সে আমাকে বলে যে আমাকে টাকা দিতে হবে তাহলে তোমার স্বামীর সাথে আর আমি থাকবো না। সে নাকি নিশিন্দারা ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং এর সেক্রেটারির ভয় দেখিয়ে গ্রামের যুবক ছেলেদের কে খেলাধুলা থেকে দূরে রাখে আর বলে করোনার মধ্যে খেলাধুলা করলে তোমাদেরকে পুলিশে ধরে দিবো, আর না হলে আমাকে টাকা দিতে হবে। গত বুধবার তার বাড়ির পাশে একজন ছেলে তার ফুফাত বোনের কাছে বেড়াতে গেলে সজল ও তার সহযোগীরা বাড়ির বাহিরে তালা দিয়ে তাদেরকে বলে তিন লক্ষ টাকা দিতে হবে। না হলে তোমাদেরকে পুলিশে দিব। সংবাদ টি ছেলেটির পাড়ায় পৌছিলে এলাকার লোকজন এসে বলেন, সে সহজ-সরল। তারা ফুফুতো ভাই বোন। সে ধরনের কোনো কার্যক্রম করতে পারে না । বগুড়া সদর থানার এস আই ফয়সাল এর দামী মোবাইল চুরি করে মহাস্থানে জনৈক এক ব্যাক্তির কাছে বিক্রি করে । পরবর্তিতে পুলিশ অফিসার তার মোবাইল মহাস্থান থেকে ক্রেতা ব্যক্তি সহ আটক করে থানায় নিয়ে এসে চুরি মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে। ঐ ব্যক্তি তার কারনে ৫৭ দিন জেল হাজতে ছিল। শুধু তাই নয়, সজল মাটিডালী হোটেল ব্যবসায়ী বক্করের কাছে যেয়ে নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেটের পরিচয় দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের ভয় দেখিয়ে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে ছিল। বিভিন্ন সময় প্রশাসন ও পুলিশ অফিসারের ভয়েস নকল ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে চাঁদা উত্তোলন করত। বৃহস্পতিবারের ঘটে যাওয়া ছেলেটি ও তার বোনকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ মানববন্ধন করে এবং মানববন্ধনে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপারের নিকট জোর দাবি দ্রুত সজলকে আটক করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং সজলের হাত থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষার দাবী জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published.