মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়ায় করেনাভাইসার প্রতিরোধে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। গত তিন দিনে ৪২৫ যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে পুলিশকেও ছাড় দেয়া হয়নি।
জানাগেছে, বিভিন্ন অজুহাতে লোকজন শহরে মোটরসাইকেল প্রাইভেট কারসহ নানা যানবাহন নিয়ে বের হয়। যাদের অধিকাংশেরই তেমন কোন জরুরি কাজ নাই। অকারণে বের হওয়া লোকজনের জনসমাগম ঠেকাতে পুলিশকে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছিল। একপর্যায় বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা নিজেই মাঠে নামেন। গত তিনদিন ধরে পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে চলে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) শহরের সাতমাথায় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একটি প্রাইভেট কার আটক করেন। প্রাইভেটকারের সম্মুখ ভাগে 'জরুরি ত্রাণ কাজে নিয়োজিত' লেখা স্টিকার ছিল। অথচ গাড়ির মধ্যে ছিল না কোনো ত্রাণ সামগ্রী। গাজী গ্রুপে চাকরি করা প্রাইভেট কার চালক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে ওই গাড়িতে মামলা দেয়া হয়। একই সময়ে হেলমেট ছাড়া মোটরসাইকেল চালানোর অভিযোগে পুলিশের তিনজন সদস্যের নামে সড়ক নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।
বগুড়া সদর ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম বার্তা ২৪.কমকে বলেন, গত তিন দিনে ৪২৫টি যানবাহনের চালকের নামে মামলা করা হয়েছে। এরমধ্যে মঙ্গলবার তিনজন পুলিশ সদস্যসহ ১১০ টি, সোমবার ১৪০টি এবং রোববার ১৭৫টি মামলা দেওয়া হয়েছে।