মতিন খন্দকার টিটু :
বৈশ্বিক মহামারিতে রুপ নেওয়া মরণঘাতি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে, জীবনের ঝুকি নিয়ে করোনায় কর্মহীন ও সমাজের অসহায় মানুষদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ধারা অব্যাহত রাখায় বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ কাহালু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল হাসিবুল হাসান কবিরাজ সুরুজ দায়িত্বশীল কর্ম তৎপরতায় উপজেলার সর্বমহলে প্রশংশিত হয়ে উঠেছেন। এ ভাইরাস সংক্রমণ রোধে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি ও সামাজিক দুরত্ব বাজায় রাখতে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় জনগণের কাছে হাত জোর অব্যাহত রেখেছেন নিবেদিত প্রাণ এই তরুণ উপজেলা চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি আতংকে পরিণত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাহালু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল হাসিবুল হাসান কবিরাজ সুরুজ কাহালু পৌরসভা সহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের সকল হাট-বাজার, গ্রামীণ জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিজস্ব অর্থায়নে অসহায় মানুষের মাঝে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট, মাস্ক ও সাবান বিতরণ শুরু করেন।
এ ছাড়াও তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা ভাইরাসে কর্মহীন ও সমাজের অসহায় মানুষদের মাঝে নিজস্ব অর্থায়নে এবং উপজেলা পরিষদের খাদ্য সামগ্রী বাড়ী বাড়ী গিয়ে পৌঁছে দেওয়ার ধারা অব্যাহত রখেছেন। করোনা ভাইরাসের অজুহাতে জিনিস পত্রের দাম বেশি না নেয় সেইজন্য তিনি দোকানদারদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করছেন।
তিনি বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের যত্রতত্র ঘোরাফেরা না করে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য বারবার হাত জোর করে আসছেন। উপজেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আড্ডা-জমায়েত বন্ধের জন্য এবং ওএমএস, খাদ্য বান্ধব ও টিসিবি ডিলারেরা যেন কোন অনিয়ম করতে না পারে সেইজন্য তিনি উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে সবসময় খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এমনকি ইউ পি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা সরকারি ত্রাণ সঠিক ভাবে মানুষদের মাঝে পৌঁছে দেন এই জন্য তিনি ত্রাণ বিতরণের সময় ইউনিয়নে ইউনিয়নে গিয়ে উপস্থিত হন।
পাইকড় ইউ পি চেয়ারম্যান মো. মিটু চৌধুরী জানান, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান যে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন তা নজিরবিহীন। তাঁর কর্মকান্ডে মনে হচ্ছে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান নন তিনি একজন সরকারি কর্মকর্তা। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার শুরু থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিলো। সারকারের পাশাপাশি কাহালুতে উপজেলা চেয়ারম্যন আল হাসিবুল হাসান কবিরাজ (সুরুজ) জনসচেতনতামূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলেন।
কাহালু উপজেলার জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে এবং করোনা ভাইরাস বিস্তাররোধে তিনি নানামুখী কর্মকান্ড শুরু থেকে প্রতিনিয়ত অব্যাহত রেখেছেন। সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের আন্তরিক ধন্যবান জানান এবং এখনো কাহালু উপজেলাকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অবদান রেখে যাচ্ছেন তিনি।
কাহালু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল হাসিবুল হাসান কবিরাজ (সুরুজ) জানান, কাহালু উপজেলার মানুষ আমাকে বিপুল ভোট দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। করোনা পরিস্থিতিতেও সরকারের পাশাপাশি আমি কাজ করে যাচ্ছি। চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় অনেক জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি, পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা ও সাংবাদিক সহ অনেকে আমাকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি আরোও জানান, করোনা ভাইরাস নিয়ে সাধারণ মানুষ আতংকিত। এই সংকটময় মুহুর্তে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাহালু উপজেলাবাসীর পাশে থাকায় আমার নৈতিক দায়িত্ব। তাই আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাহালু উপজেলাবাসীর পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। এই সংকটময় মুহুর্তে সরকারের পাশাপািশ জনপ্রতিনিধি ও সমাজের বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার উদাত্ত¡ আহবান জানান তিনি। তিনি করোনা সংক্রমণ রোধে সবাইকে নিজ নিজ বাড়ীতে অবস্থান করারও অনুরোধ জানান।