মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়ার গাবতলী মডেল থানা পুলিশ জুয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামী দুর্গাহাটার আব্দুল মোমিন (এনজিও) মোমিনসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে। থানাসুত্রে জানাগেছে, দুর্গাহাটা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে শ্বশ্মান ঘাটি এলাকাসহ কয়েকটি স্থানে জুয়া চলে আসছিল। এঘটনায় ১৭মে গাবতলী মডেল থানার এস আই ইফতেখায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় জুয়া আইনে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫/৭ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর পুলিশ জিয়াউর রহমান নামে এক জুয়াড়ীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামী আব্দুল মোমিন (এনজিও) মোমিনসহ অন্যরা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। গোপন সংবাদ পেয়ে ওসি নুরুজ্জামানের নির্দেশে ২৩মে শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই শামিম আহম্মেদ, দুর্গাহাটা এলাকা হতে নিজ দুর্গাহাটা গ্রামের পিতা মৃত ওসমার আলীর ছেলে আব্দুল মোমিন(এনজিও) মোমিন, পনিরপাড়া জায়দাহাটা গ্রামের পিতা অজ্ঞাত মিষ্টার আলী ও মামলার অজ্ঞাত আসামী দুর্গাহাটা এলাকার পিতামৃত রইচ উদ্দীনের ছেলে মিসটার হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতে চালান দেয়া হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন। এব্যপারে গাবতলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নুরুজ্জামান জানান, উপজেলায় জুয়া খেলা ও মাদক দ্রব্য বিক্রি সেবনকারীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যহত থাকবে। অভিযান চলবে দিন রাত সমভাবে । তিনি আরো জানান, মাদক সেবন, বিক্রি ও জুয়া খেলা কেউ দেখতে পেলে আমাকে সরাসরি ফোন করে জানাবে। আমি নিজে ও ফোর্স পাঠিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনবো। গাবতলী মডেল থানায় নবাগত ওসি হিসাবে যোগদান করার পর মোঃ নুরুজ্জামান মাদক জুয়াসহ সকল প্রকার অপরাধ জনিত কর্মকান্ড কঠোরভাবে দমনের ঘোষনা দিয়েছেন। মাদক ও জুয়া বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকায় ওসি মোঃ নুরুজ্জামানকে সাধারন শান্তিপ্রিয় সাধারন মানুষ অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানিয়েছে।