মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার দুর্গাহাটা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পোড়াদহ’র আদলে মেলার আয়োজনে হতবিহ্বল অভিভাবক মহল। নিষেধাঙ্গা জারির পরও এর পিছনে অদৃশ্য কারণে প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় সচেতনমহল উদ্বিগ্ন! এ মেলার আশপাশে স্কুল, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা, ব্যাংক, স্বাস্থ্য ক্লিনিকসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট রয়েছে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের বৈধ অনুমতি না মিললেও অদৃশ্য কারণে স্কুল মাঠে ১দিনের মেলা প্রায় সপ্তাহ জুড়ে প্যান্ডেল ও ছোট মেলা চলে আসলেও এযেন দেখার কেউ নেই। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ অবৈধ মেলা বসানো হচ্ছে বলে এলাকায় রব উঠেছে। সরেজমিনে জানা গেছে, আসছে বুধবার গাবতলী দুর্গাহাটা উচ্চবিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পোড়াদহ মেলার আদলে মেলা বসবে। এউপলক্ষে গত রোববার থেকেই স্কুল ও বাজার মাঠে প্যান্ডেল বসিয়ে হরেক রকমের দোকানীরা পসরা সাজিয়ে বেচা-বিক্রি করছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, দোকান ভেদে ২শ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ চলছে। মেলায় সার্কাসসহ অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন হবে মর্মে খবরে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। পরস্পর বিরোধীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের আশংকা করছে সাধারণ মানুষ। গাবতলী উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে পোড়াদহ ছাড়া অন্য কোথাও কোন মেলা বসানো যাবেনা বলে মাইকিং করা হলেও কোন ক্ষমতা বলে এমেলা হচ্ছে দাবি করে এলাকার সচেতনমহল অবিলম্বে মেলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। অবৈধ মেলায় স্কুল মাঠ ব্যবহারের অনুমতি প্রসঙ্গে দুর্গাহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরেফুর রহমান জানান, প্রধান শিক্ষকের ক্ষমতাবলে ১দিন মেলা বসানোর সম্মতি দেয়া হয়েছে। অবৈধ এ মেলা কমিটির সভাপতি সোলেমান প্রামানিক প্রজ্ঞাপণ জারির পরেও কিভাবে মেলা বসছে জানতে চাইলে তিনি কৌশলে তা এডিয়ে যান। জানান, দুর্গাহাটার এ মেলায় প্রশাসনের কোন অনুমতি নেই। দুর্গাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মিঠু কোন কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। গাবতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহেব রেজা আহম্মেদ জানান, আমরা শুধু জানি পোড়াদহ মেলা হচ্ছে। দুর্গাহাটা মেলার সম্পর্কে আমার জানা নেই, উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে কোন ব্যবস্থা নিলে আমরা ব্যবস্থা নিবো। উপজেলা নিবার্হী অফিসার রওনক জাহান জানান, হ্যা আমরা প্রজ্ঞাপণ জারি করেছিলাম এই মর্মে যে, পোড়াদহ মেলাকে ঘিরে সুবাদবাজার, দাড়াইলবাজার ও দুর্গাহাটায় যে মেলা বসে তাতে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশংকা থাকায় অন্যকোথাও মেলা হবেনা মর্মে প্রজ্ঞাপণ জারি করি। তবে দুর্গাহাটায় মেলা সম্পর্কে তিনি জানান, তাদের একটি আবেদন রয়েছে। এর অনুমতি বা নিষেধ কোনটিই দেয়া হয়নি।