বগুড়া জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান সিভিল সার্জনসহ শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা করোনায় আক্রান্ত

স্বাস্থ্য

মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়া জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সিভিল সার্জন ডা. গাওসিল আজিম চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসন মিশু্ও এই ছোঁয়াচে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন । বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের ওই ২ কর্মকর্তার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, তারা ২জনেই আইসোলেশনে রয়েছেন। তবে সিভিল সার্জন ডা. গাওসিল আজিম চৌধুরী যেহেতু পরিবারের সদস্য ছাড়া কর্মস্থলে একাই অবস্থান করেন সে কারণে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে।

বগুড়ায় গত ১ এপ্রিল প্রথম করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। তার পর থেকে বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক,নার্স,পুলিশ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে শুরু করেন। করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ৮৬তম দিনে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা আক্রান্ত হলেন।

জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ২৪ জুন পর্যন্ত জেলায় মোট ২ হাজার ৫১৬জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৩জনের আর সুস্থ হয়েছেন ২৮৩জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১৬ হাজার ১৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হলেও পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৯৮৪টি নমুনা।

বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, করোনার উপসর্গ থাকায় ২৫ জুন বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন ডা.গাওসিল আজিম চৌধুরী এবং বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সামির হোসেন মিশুর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বিকেলে তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ডা. সামির হোসেন মিশু জানান, তার গায়ে জ্বর এবং গলা ব্যথা রয়েছে। তিনি বলেন,আমি বাসাতেই আইসোলেশনে রয়েছি।

অন্যদিকে সিভিল সার্জন ডা. গাওসিল আজিম চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা জানতে চাইলে তাঁর ডেপুটি ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, আপনারা তো জানেন স্যারের ফ্যামিলি ঢাকায় থাকেন। তিনি তাঁর দপ্তরের ওপর তলায় একটি কক্ষে বসবাস করেন। তো স্যারের এমনিতেই কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যেহেতু তিনি একা থাকেন সে কারণে আমরা তাকে হাসপাতালে নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছি। তাকে হয়তো রাতেই হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.