মতিন খন্দকার টিটু :
সরকারী নির্দেশকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ও করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ রাখতে মহাস্থান বাজারে সকল দোকানপাট বন্ধ। এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা গোডাউনে পর্যাপ্ত চাউল মজুত রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করছে।
বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহাসিক মহাস্থান জমজমাট হাট ও বাজারসহ পুরা বন্দর বুধবার হাটের দিন হলেও করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে ও সরকারী আর্দেশকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফামের্সী, কীটনাষক দোকান, কাঁচামাল ও মুদির দোকান বাদ দিয়ে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। মুদির দোকান আঞ্জু মিয়া জানায় সকালে কিছু কিছু দোকান খুলেও শিবগঞ্জ থানা পুলিশ সকল দোকানদারকে বেলা ২টা পর্যন্ত দোকান খুলে রাখার নির্দেশ দেন। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, চাল, ডাল, মাছ, মাংশ সহ সকল নিত্যপয়োজনীয় জিনিসের দোকান খোলা থাকলেও অতিজরুরী বিকাশ, শিওরক্যাশ, ডার্চবাংলা মোবাইল ব্যাংকিং দোকান গুলো বন্ধ থাকায় অনেক মানুষ বিপাকে পরেছে। বিকাশ গ্রাহক ফাতেমা নামের ১ মহিলা জানান, “আমার স্বামী ঢাকায় রিক্সা চালায়, সে সকালে আমার বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠিয়েছে বিকাশ থেকে টাকা বার করার জন্য পুরা মহাস্থান ঘুরছি কোনটিউ বিকাশ দোকান খোল পানুনো” বিকাশ থেকে টাকা বের করতে না পেরে হতাশ হয়ে বাড়ী ফিরে গেলেন ফাতেমা। তার দাবী প্রতিদিন ২ ঘন্টার জন্য হলেও বিকাশে দোকান খুলা থাকা দরকার। “না হলে আমার মতো অনেকেই না খেয়ে থাকতে হবি”।
অপরদিকে করোনা ভাইরাসকে আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে সুযোগ নিয়েছে মহাস্থানের কিছু অসাধু চাউল ব্যবসায়ীরা। তারা করোনাকে কেন্দ্র করে কৃত্রিম সংকট তৈরী করছে, গত ১ সপ্তাহের মধ্যে ২বার চাউলে দাম বেড়ে প্রতি কেজি চাউলের উপরে ১০-১৫ বেশী দরে চাউল বিক্রি করছে তারা। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক চাউলে দাম বেশী রাখার কথা বলেল সে জানায় আমারা বিভিন্ন মোকাম থেকে চাউল সংগ্রহ করি, মোকামেই চাউলে দাম বেশী, প্রতি বন্তা চাউলে উপরে প্রায় ৫-৭শ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং চাউল ক্রয়ের চালানও সে দেখায় আরও জানান উত্তঞ্চলের অটো রাইস মিলস গুলোতে যে, চাউল মজুত আছে তা হলে বাংলাদের মানুষের ১ বছর চলবে, কিন্তু তারা ধানের দাম বেশী বলে বার বার চাউলে দাম বাড়াচ্ছে। আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করলে চাউলের দাম শিথিল থাকবে বলে মনে করছে সাধারণ চাউল ব্যবসায়ীরা। মহাস্থান হাট চাউলের বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যে দোকান গুলোতে ৫০ থেকে ৫০০ বস্তা পর্যন্ত চাউল মজুত থাকতো সে দোকান গুলোতে এখন ৫-১০ বস্তা চাউল মজুত আছে। বিশ^স্ত সূত্রে জানাযায় প্রত্যেক দোকানীই রাতারাতী চাউল গুলা অনেকেই নিজ নিজ বাড়ী ও গুপ্ত গোডাউনে সরিয়ে রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরী করছে। এবিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর কবির এর সংগে ফোনে কথা বললে তিনি জানান বিষয়টা আমি খতিয়ে দেখছি।