মুহাম্মদ মতিন খন্দকার টিটু :
বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম (বার) বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক সেই ১৮মিনিটের ভাষণ বাংলার কোটি কোটি জনতাকে জাগ্রত করেছিল। সেই ভাষণ ছিল রণকৌশলের নির্দেশনা, ছিল বাংলার প্রতিটি মানুষের স্বাধীনতা অর্জনের ঘোষণা। রেসকোর্স ময়দানের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ আজ সারাবিশে^র মানুষের কাছে বিস্ময়। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে ও বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তিতে বগুড়া সদর থানার আয়োজনে রবিবার শহরের শহীদ খোকন পার্কে আয়োজিত আনন্দ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলি বলেন। সভায় এসপি আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম (বার) আরো বলেন, জাতির পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ ও লালন করতে হবে। আগামীর স্বপ্নের সোনার বাংলার নেতৃত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর এই আদর্শেই তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে হবে। বাংলাদেশ উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে এই লক্ষ্যেই সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে এবং পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিআইডি বগুড়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কাওসার শিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা: মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, বগুড়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রুহুল আমিন বাবলু, বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন, বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিক এবং বগুড়া জেলা পরিষদের সদস্য মাহফুজুল ইসলাম রাজ। অনুষ্ঠানে এসময় জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি আব্দুর রাজ্জাক, সদর থানার ওসি (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদসহ বগুড়া পৌর এলাকার নব-নির্বাচিত কাউন্সিলরবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ছাড়াও শত শত সাধারণ মানুষের ভীড়ে মুখরিত ছিল শহীদ খোকন পার্ক এলাকা। উল্লেখ্য, আলোচনা সভার পূর্বে ঐতিহাসিক এই দিনে এইবছরই প্রথম খোকন পার্কে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে সকলকে সাথে নিয়ে কেক কর্তনের মাধ্যমে জেলা পুলিশের পক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম (বার)। পরিশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আনন্দ উদযাপন অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি করা হয়।