মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন,বরগুনা থেকে :
আজ ১ লা মে দিবস। যথাযথ মর্যাদার সাথে বরগুনা সহ সাড়া দেশে ঐতিহাসিক মে দিবস পালিত হয়।
বরগুনায় বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন সকাল ১০টায় স্ব স্ব ব্যানার নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় রেলী প্রর্দশন করে। এসময় সকল সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদকসহ অন্যান্য নের্তৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। মে দিবস উপলক্ষে সকল শ্রমিকদের সমাগম হয় বরগুনা টাউন হল অফিসের সামনে। নের্তৃত্ব দেন বাংলাদেশ আন্তঃ জেলা ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়নের, সম্মানিত সভাপতি মোঃ রইসুল আলম রিপন।
কেন পালন করা হয় মে দিবস ?
১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার শিকাগো শহরের হে মার্কেটের ম্যাসাকার শহিদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে পালিত হয় মে দিবস। সেদিন দৈনিক আটঘণ্টার কাজের দাবিতে শ্রমিকরা হে মার্কেটে জমায়েত হয়েছিল। তাদেরকে ঘিরে থাকা পুলিশের প্রতি এক অজ্ঞাতনামার বোমা নিক্ষেপের পর পুলিশ শ্রমিকদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে।
ফলে প্রায় ১০-১২ জন শ্রমিক ও পুলিশ নিহত হয়। ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লবের শতবার্ষিকীতে প্যারিসে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকের প্রথম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে থেকে শিকাগো প্রতিবাদের বার্ষিকী আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশে পালনের প্রস্তাব করেন রেমন্ড লাভিনে।
১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে আন্তর্জাতিকের দ্বিতীয় কংগ্রেসে এই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। এর পরপরই ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে মে দিবসের দাঙ্গার ঘটনা ঘটে।
পরে, ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে আমস্টারডাম শহরে অনুষ্ঠিত সমাজতন্ত্রীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এই উপলক্ষ্যে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। প্রস্তাবে দৈনিক আটঘণ্টা কাজের সময় নির্ধারণের দাবি আদায়ের জন্য এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বজুড়ে পয়লা মে তারিখে মিছিল ও শোভাযাত্রা আয়োজন করতে সকল সমাজবাদী গণতান্ত্রিক দল এবং শ্রমিক সংঘের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সেই সম্মেলনে “শ্রমিকদের হতাহতের সম্ভাবনা না-থাকলে বিশ্বজুড়ে সকল শ্রমিক সংগঠন মে মাসের ১ তারিখে ‘বাধ্যতামূলকভাবে কাজ না-করার’ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
অনেক দেশে শ্রমজীবী জনতা মে মাসের ১ তারিখকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালনের দাবি জানায় এবং অনেক দেশেই এটা কার্যকর হয়। দীর্ঘদিন ধরে সমাজতান্ত্রিক, কমিউনিস্ট এবং কিছু কট্টর সংগঠন তাদের দাবি জানানোর জন্য মে দিবসকে মুখ্য দিন হিসাবে বেছে নেয়।
কোনো কোনো স্থানে শিকাগোর হে মার্কেটের আত্মত্যাগী শ্রমিকদের স্মরণে আগুনও জ্বালানো হয়ে থাকে। পূর্বতন সোভিয়েত রাষ্ট্র, চিন, কিউবাসহ বিশ্বের অনেক দেশেই মে দিবস একটি তাত্পর্যপূর্ণ দিন। সেসব দেশে এমনকি এ উপলক্ষ্যে সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশেও প্রতিবছর এই দিনটি যথাযথভাবে পালিত হয়ে আসছে।
বরগুনা জেলার সকল শ্রমিক, ও বর্ণাঢ্য রেলি, এ রেলিতে অংশগ্রহণ করেন, বরগুনা ০১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। ও বরগুনা জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান।ও বরগুনা জেলা পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক।
ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আব্বাস হোসেন মন্টু মোল্লা, ও
বরগুনা জেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম এ্যটম, ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের শ্রমিক,এ রেলিতে অংশগ্রহন করে।
আয়োজনে ছিল বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়নের বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি মোঃ রইসুল আলম রিপন। ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ বশির আহমেদ।