Doinik Bangla Khobor

বাগেরহাটে চিংড়ির রেণু পোনা চাষীরা বর্তমানে হতাশায় দিন পার করছে

রণিকা বসু মাধুরী বাগেরহাট থেকে :
কথায় বলে মাছে ভাতে বাঙালি, কিন্তু আজ সারাবিশ্ব করোনা র প্রভাবে খুবই মর্মাহত। বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলা চিংড়ি চাষের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু আজ বাগেরহাট জেলার মানুষ দুশ্চিন্তা ও হতাশাগ্রস্ত। চিংড়ি চাষের উপযুক্ত মৌসুম মে থেকে ডিসেম্বর। কিন্তু এবছর করোনার প্রভাবে, চিংড়ি চাষী ও ব্যবসায়ীরা। এই চিংড়ি চাষ নিয়ে অনিশ্চয়তার দিন গুনছে। চিংড়ির রেণু পোনা সরবরাহ যোগাযোগ ব্যবস্থায় করোনার কারনে ঠিকমত না হওয়ায় কৃষকরা সময়মতো রেনু পোনা ঘেরে ( পুকুর)ছাড়তে কিছুটা বিড়ম্বনার শিকার হতে হলেও তা কেটে উঠতে আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।
ইতিপুর্বে উপজেলায় চিংড়ি রেনুর চাহিদার ৪০ থেকে ৪৫ ভাগ রেনু চাষির ঘেরে ছাড়া হয়ে গেছে। শতভাগ সম্পর্কিত হিসাব জুন মাসের মধ্যে জানা যাবে বলে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রটি জানিয়েছে। চিতলমারী উপজেলায় এবছর (২০২০সাল) ৬ হাজার ৮৯ হেক্টর জমিতে ১৭হাজার ৭৩০টি চিংড়ি ঘেরে রেনু ছাড়ার উপযোগি রয়েছে । যার মোট রেনুর চাহিদা রয়েছে ১৫ কোটি ৩২লাখ।
উক্ত চাহিদার ৪০ থেকে ৪৫ ভাগ রেনু ইতিপর্বে চাষির ঘেরে অবমুক্ত করা হয়েছে এমনটি নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সোহেল মোঃ জিল্লুর রহমান রিগান।
তিনি আরো জানান, করোনার প্রভাবে কৃষকের রেনু আমদানিতে বিড়ম্বনার কারনে আগাম রেনু ছাড়তে কিছুটা সমস্যা হলেও বর্তমান প্রশাসন এবং মৎস্য অফিসের সমন্বয়ে রেনু আমদানির ব্যপারে কিছুটা সিথিল। প্রয়োজনে মৎস্যচাষিদের রেনু আনতে দুরে যেতে হলে অফিস থেকে তাদের অনুমতি পত্র প্রদানকরা হবে।এপর্যান্ত ঘেওে ছাড়া কোন চিংড়ি পোনার দুঃসংবাদ পাওয় জায়নি।