নিজস্ব প্রতিবেদক :
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কঠোর বিধিনিষেধের গত তিন দিনে ঢাকায় রাস্তায় বেরিয়ে আটক হয়েছে প্রায় দুই হাজার মানুষ। তারপরও চতুর্থ দিনে রাজধানীতে চলাচল আরও বেড়েছে।
রবিবার ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রধান সড়ক মোটামুটি ফাঁকা থাকলেও অলিগলি ও কাঁচাবাজারে মানুষের ভিড় আগের তিন দিনের চেয়ে বেশি। কারো কারো মাস্ক ঝুলছে থুতনিতে। কাঁচাবাজার, মাছের দোকানে গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে দরদাম চলছে। গলির ভেতরে খাবার হোটেলে নাস্তা কেনার জন্য জটলা করছেন অনেকে।
ছবি তুলতে দেখলে কেউ কেউ একটু সতর্ক হন, থুতনি থেকে মাস্ক নাকে-মুখে উঠে। প্রশ্ন করলে কেউ আমতা আমতা করেন, কেউবা প্রকাশ করেন বিরক্তি। তবে প্রধান সড়কগুলোতে গত দিন দিনের মতোই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বেশি তৎপর দেখা গেছে। রবিবার চতুর্থ দিনে রাজধানী গ্রেফতার হয়েছে ৬১৮ জন। এছাড়া ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক ৪৯৬টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলায় জরিমানা করা হয়েছে ১২ লাখ ৮১ হাজার টাকা। ১৬১ জনকে ৫৪ হাজার ৪৫০ টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে।
অপর দিকে মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ইফতেখারুজ্জামান জানান, গ্রেফতারকৃতরা বিনা কারণে ঘর থেকে বের কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মানছিলেন না। মূলত এ কারণেই মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স অ্যাক্ট আইনে মামলা করা হয়। তাদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এর আগে লকডাউনের প্রথম দিনে সাড়ে ৫৫০, দ্বিতীয় দিন ৩৪৬ ও তৃতীয় দিন ৬২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। লকডাউনের দিনগুলোতে রাজধানীর ৮টি জোনে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সমন্বয়ে অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে কোন কারণ বা উপযুক্ত জবাব দিতে না পারায় ওসব ব্যক্তিদের জরিমানা করা হয়। আর যেসব গাড়িগুলোকে জরিমানার আওতায় আনা হয়েছে। তারা শুধু স্বাস্থ্যবিধিই মানেনি, গাড়ির কাগজপত্রও ঠিক ছিল না। মূলত এ কারণেই গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি অনেককেই তাদের বাসায় ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।