বিশেষ প্রতিবেদন :
পৃথিবীর সকল দেশে তাদের জাতির জাতীয় প্রয়োজনে কার্ফ্যু বা জরুরী অবস্থা জারীর বিধান রয়েছে এবং সে মোতাবেক করেছেও ৷ কোন দেশ একক ভাবে কি সারা বিশ্বে কার্ফ্যু বা জরুরী অবস্থা জারী করতে পারবে ? বর্তমানে পৃথিরীর এক নম্বর শক্তিশালী দেশ আমেরিকা ও যদি তার শক্তি বলে ঘোষনা দেয় আজ থেকে সারা বিশ্বে কার্ফ্যু ৷ তা দেওয়া কি সম্ভব ? কোন উন্মাদ দিলেও কি কোন দেশ মানবে ? নিশ্চই না ৷ তবে অবিশ্বাস যোগ্য হলে সত্য যে এক জন সারা বিশ্বে কার্ফ্যু জারী করেছিলেন ৷ হাস্যকর হলেও বাস্তব ৷
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর খুনি মেজর ডালিম স্বসস্ত্র অবস্থায় রেডিও – টিভি ষ্টেশন দখল করে ঘোষনা দিয়েছিলো “আজ থেকে সারা বিশ্ব কার্ফ্যু” ৷ এতগুলো হত্যাকান্ড ঘটিয়ে নিজেকে সংবরণ করতে না পেরে মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ডালিম তা বলেছিলো ৷ কিন্ত আজ স্বজ্ঞানে সচেতন ভাবে সারা বিশ্বের সরকার প্রধানরা একযোগে নিজ নিজ দেশে জরুরী অবস্থা- কার্ফ্যু জারী করেছে ৷ যে মুহুর্তে ধনী দেশগুলো নিজেদের আনবিক শক্তিতে বলিয়ান করতে ব্যাস্ত ৷ গোপনে- প্রকাশ্যে পরমানু যুদ্ধের ডামাঢোলে ব্যাস্ত ৷ আজ সে মূহুর্তে সেই পরাশক্তির দেশগুলো অদৃশ্য ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র এক করোনা ভাইরাসের ভয়ে সন্ত্রস্থ ৷ প্রতিষেধক তৈরী ও তা নিরাময়ে তাদের সকল প্রচেষ্টা ব্যার্থ হওয়ার পর আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনাই একমাত্র সম্বল ৷ সম্প্রতি কালে ওয়াজ মাহফিলে ডুবে ছিলো বাংলাদেশ ৷ ওয়াজের মাধ্যমে কে কত বেশী অর্খ ও সুনাম অর্জন করতে পারেন সে প্রতিযোগিতায় ব্যাস্ত ছিলেন স্বনামধন্য আলেমরা ৷ কিন্ত এত ওয়াজ মাহফিল ও নসিয়ত করেও মসজিদ মূখী করতে পারেননি মানুষদের ৷ কারন সে ওয়াজ নসিয়তগুলি ছিলো আর্থীক ,রাজনৈতিক ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত ৷ কিন্ত অদৃশ্য এক ক্ষুদ্র করোনা ভাইরাস মানুষের মধ্যে আল্লাহ ভীতি সৃষ্টিকরে মানুষকে মসজিদ মুখী করেছে ৷ এত বিধীনিষেধের পরও মসজিদ গুলোতে উপচে পড়া ভীড় ৷ যুগে যুগে মানুষ যখন আল্লাহ এবং আল্লাহর শক্তিকে ভূলে নিজেদের শক্তিমত্তার প্রমানে মনুষত্ব হারিয়ে অপরাধের মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে যায় তখন আল্লাহ শতাব্দীর পর শতাব্দী এমন গজব নাজিল করে আল্লাহ নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান দেন ৷ হাদিস শরীফে প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) ইরশাদ করেছেন ” জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজনে সুদুর চীন যাও” ৷ এটা চীন জাতির জন্য আশির্বাদ স্বরুপ ৷ প্রায় দেড়হাজার বছর পূর্বে নবী করিম (সঃ) এর আশির্বাদের ফলে চীন আজ তথ্য প্রযুক্তি ও জ্ঞান-গরিমায় শ্রেষ্ঠত্বের প্রমান রেখেছে ৷ নবী করিম (সঃ) এর আশির্বাদপুষ্ঠ হয়ে চীনই সেই নবীর উম্মতদের উপর ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকান্ড ও নির্যাতন চালিয়েছে ৷ চীনের ছত্রছায়ায় মিয়ানমার রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠির উপর যে জঘন্যতম হত্যাকান্ড চালিয়েছে তা কেবল হালাকু খাঁনের হত্যা যজ্ঞের সাথে তুলনা করা যায় ৷ ১২৫৬ খৃষ্টাব্দে চেঙ্গীস খানের পৌত্র হালাকু খাঁন বাগদাদ আক্রমন করে বাগদাদের ২০ লক্ষ অধীবাসীর মধ্যে ১৬ লক্ষ অধীবাসীকে হত্যা করে ইরাকের দজলা নদীর পানি বহু মাইল পর্যন্ত রক্তে রঞ্জিত করেছিলেন ৷ আর বহু শতাব্দী পর চীনের ছত্রছায়ায় মিয়ানমার সরকার হাজার হাজার মুসলমান রোহিঙ্গা জনগনকে গলাকেটে হত্যা করে নাফ নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে নাফ নদীর পানি রক্তে রঞ্জিত করে হালাকু খাঁনের জঘন্যতম হত্যাকান্ডের পূনরাবৃত্তি করেছেন ৷ আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সহায়সম্বলহীন প্রায় ১০ লক্ষ বাস্তুহারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে আশ্রয় দিয়ে যে ঈমানী দায়ীত্ব পারেছেন তার ফজিলতে যদি আল্লাহ তালা বাংলাদেশের মানুষকে করোনা ভাইরাস মুক্ত করেন ? আল্লাহ ই এখন বাংলাদেশের মানুষের একমাত্র ভরসা ৷লেখক:- জি এম জাহিদ হোসেন টিপু,চেয়ারম্যান-বাতিসা ইউপি,চৌদ্দ গ্রাম,কুমিল্লা