মুক্তারুজ্জামান :
নওগাঁ জেলার সাহাপুর নিজ গ্রাম পিতা শহীদ ইব্রাহীম আলী খন্দকার এর বড় ছেলে আতোয়ার রহমান বকুল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক কমান্ডার আতাউর রহমান বকুল দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ থাকায় তার ছোটভাই মো: ওহিদুল আলম দেশবাসীর কাছে দোয়া কমনা করেছেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতির ঐক্যবদ্ধ ভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন পাকিস্তানি জল্লাদ বাহিনী নিরস্ত্র জনগণের উপর আতর্কিত সশস্ত্র আক্রমণ চালিয়ে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর এক অসম যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়। সেই যুদ্ধে ৯ মাসের সশস্ত্র জনযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর জাতির চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।
শহীদ ইব্রাহীম হোসেন খন্দকার এর বড় ছেলে মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আতোয়ার রহমান বকুল গুরুতর অসুস্থ দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি বলেন আমার পিতা শহীদ ইব্রাহিম হোসেন খন্দকার পেশাগত নওগাঁ পৌরসভার স্যানিটারী ইন্সপেক্টর থাকাকালীন ইং ২২/৪ /১৯৭১ সালে নিজ গ্রামে বিকাল ৩ টায় পাক হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছিলেন। শহীদ ইব্রাহীমের মৃত্যুকালীন তিন সন্তান চার মেয়ে রেখে গেছেন । তিনি বলেন আমি ও আমার বাবা এবং সকল যোদ্ধাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম।
তিনি আরো বলেন আমার ছোট ভাই মো: ওহিদুল আলম আমাদের অস্ত্র সারা রাত জেগে পাহারা ও খাওয়া-দাওয়ার সকল সহযোগিতা করেছিলো যুদ্ধ চলাকালীন । তিনি আরো বলেন আমরা মুক্তিযুদ্ধে অনেক কিছু হারিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরকার মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্বীকার করছে ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রযোজ্য সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রাপ্য ও সম্মান জানাইছে। আমরা তাঁর কাছে চিরো কৃতজ্ঞ ও সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন জানান। তিনি বলেন নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার অফিসের সামনে ৮ জন শহীদের স্মরণে ফলকের ভিত্তি স্থাপন করেন সেখানে আমার বাবার নাম ৬ নাম্বার শহীদ ইব্রাহীম হোসেন খন্দকার তিনি দেশের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়েছে। তাই তিনি দেশবাসীর কাছে তার বাবা ও তার জন্য দোয়া চেয়েছেন আল্লাহ তাআলা তাকে যেন সুস্থ করে তোলেন।