জি এম জাহিদ হোসেন টিপু :
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল। ১৯৪৯ সালে আওয়ামীলীগ যখন প্রতিষ্ঠা হয় বঙ্গবন্ধু তখন জেলে। মাওলানা ভাষানীকে সভাপতি এবং শামছুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে আওয়ামী মুসলীমলীগ গঠিত হয়। জেলে থেকেই বঙ্গবন্ধু সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। মুসলিম লীগের অপশাসন এর বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রবর্তনের লক্ষেই দলটির জন্ম । বঙ্গবন্ধু জনগনের অধীকার আদায়ের সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করে ধীরে ধীরে ইতিহাসের পরতে পরতে নিজেকে অবশ্যম্ভাবী করে তুলে হয়ে উঠেন এক মহীরুহ। শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতীর পিতা ৷ ৪৯শে পূর্ব পাকিস্তানের আওয়ামীলীগের শেখ মুজিব , আর ৭১ এ স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীর পিতা। ভাষানীর আওয়ামীলীগ কালের বিবর্তনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আওয়ামীলীগে পরিনত হয়েছে। ৭৫ সালের স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধুর নির্মম মৃত্যুর সময় শেখ হাসিনা ছিলেন বিদেশে। ৮১ সালে তিনি দেশে এসে আওয়ামীলীগের হাল ধরে দলে শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে কঠোর পরিশ্রম করেন। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর জেল জুলুম খাটা অনেক নেতা ত্যাগের অজুহাতে শেখ হাসিনাকে সহজে মানতে পারেনি ৷ দলে গনতন্ত্রের কথা বলে আব্দুর রাজ্জাক বাকশাল গঠন করেন আর ড: কামাল, মোস্তফা মহসীন মন্টুরা গণফোরাম করে দল ভেঙ্গে নতুন দল গঠন করেন ৷ অথচ রাজ্জাক, ডঃ কামালরা নিজ নিজ দলে কখনই গনতন্ত্র দেননি। স্বপ্নভাঙ্গা কর্মীরা অনেকেই হতাশ হয়ে তাদের দল ত্যাগ করেন । পরবর্তীতে বাকশাল আওয়ামীলীগে পূণত্রীকরণ হয়েছে আর গনফোরাম এখন ইতিহাস। স্বপ্ন দেখিয়ে বহু নেতাকর্মীর রাজনৈতিক জীবন তারা নষ্ট করেছে। ১/১১তে এখনকার বহু নেতা শেখ হাসিনাকে একা ফেলে যখন পিছুটান দিয়েছেন তখন ঢাকা প্রেসক্লাবের এক আলোচনা সভায় সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আমু,তোফায়েল ভাইদের আপোষকামিতাকে থোড়াই কেয়ার করে চৌদ্দগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা সাবেক সফল রেলপথ মন্ত্রী মুজিব ভাইয়ের বজ্র কঠিন বক্তব্য “ নো হাসিনা,নো ইলেকশন ” এমন দীপ্ত কঠিন বক্তব্য লন্ডনে বসে লাইভ বক্তব্য দেখে শেখ হাসিনা তখন প্রীত হয়েছিলেন। আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরে হাসিনার একনায়কতন্ত্রের অবসানের লক্ষ্যে গণতন্ত্রের ধ্বজ্জাধারীদের সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ,১৯ বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে দল এবং দেশকে অনন্য এক উচ্চতায় দাঁড় করিয়ে বিশ্ব ব্যাপি হয়েছেন “মানবতার মাতা ”৷ দল এবং দেশের জন্য হয়ে উঠেছেন অবশ্যম্ভাবী ৷ চৌদ্দগ্রামেও তেমনী ৭৫ পরবর্তী সময় সকল ভীত সন্ত্রস্ত্র নেতাকর্মীদের ঘর থেকে বের করে এনে আওয়ামীলীগ করার সাহস যুগিয়েছেন চৌদ্দগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মুজিবুল হক মুজিব ভাই ৷ তিনি ৯০ এর দশকে মীরু - আফতাবদের দিয়ে আমাদের মত এক ঝাক তরুন ছাত্রনেতাদের পিছনে নিরলস শ্রম-অর্থ ব্যয় করে জীবন যৌবনকে উৎসর্গ করে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রেরকে মোকাবেলা করে চৌদ্দগ্রাম সরকারী কলেজ, চিওড়া সরকারী কলেজ ছাত্রসংসদ গুলোতে পূর্ণপ্যানাল বিজয়ী করে কাজী জাফর, আব্দুল্লাহ মো: তাহেরদের মত দৌড়দন্ডপ্রতাপশালী নেতাদের পরাজিত করে মুজিব ভাই চৌদ্দগ্রামে আওয়ামীলীগকে শক্ত ভীতের উপর দাঁড় করিয়েছেন। ৮৬ সালে সংসদ নির্বাচনে ২২শত ভোট পাওয়া আওয়ামীলীগ ২০১৮ সালে লক্ষ লক্ষ ভোট পাওয়া আওয়ামীলীগে পরিনত করেছেন মুজিব ভাই ৷ এমপি- মন্ত্রী হয়ে তাঁর উন্নয়ন ও আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা চৌদ্দগ্রামের গন্ডী পেরিয়ে দেশব্যাপী সমাদ্রীত ৷ তাই চৌদ্দগ্রামে মুজিব ভাই তার ত্যাগ, শ্রম,অর্থ, মেধা ও কারিশমাটিক নেতৃত্বের কারনে দলের জন্য হয়ে উঠেছেন অবশ্যম্ভাবী। চৌদ্দগ্রামে আওয়ামীলীগ এবং মুজিব ভাই এক এবং অভীন্ন। এই চেতনায় যারা বিশ্বাস করেননা তারা অন্তঃত চৌদ্দগ্রামে আওয়ামীলীগ করার প্রয়োজন নেই কারন তারা সংগঠনে শৃংখলা বিনষ্টকারী দূষ্টচক্র ৷