সিলেট প্রতিনিধি :
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সীমান্ত এলাকার মানুষ গুলো যেন ঠিক এখনো পূর্ব পাকিস্তান আর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দ্বারা শাসিত শোষিত নির্যাতিত নিপিড়ীত নির্যাতনের শিকার ও যেমনটা হচ্ছে নিরীহ গরীব অসহায় মানুষ গুলো দেখার নেই কেউ কাউ কোথাও।
এ-ই নিম্ন অঞ্চল সীমান্ত এলাকায় এক অদৃশ্য রাজার নেতৃত্বে চালিত আর সেই রাজার বাহিনী দ্বারা কার্যক্রম চালিত, বাংলাদেশের সংবিধানের মধ্যে এ-ই রাজ্যে সংবিধান কোনোভাবে মিল নেই, এ যেন বাংলাদেশের মানচিত্রের বাহিরে।
এই দেশের মানুষ কেমন আছে শুধু এখানকার স্থানীয় মানুষ জানে আর নিরবে কাঁদে এমনই চিত্র তুলে অভিযোগ করেন মোঃ মাহবুব আলম চৌধুরী জীবন(৩৪), সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার -এর সঙ্গে আব্দুল আউয়াল (৩৪), পিতা মৃতঃ আব্দুল আলীম, গ্রামঃ শিবনগর, মোঃ চাঁন মিয়া (৪৪) আব্দুর রুপ(৪২), উভয় পিতা মৃতঃ সিকন্দর আলী, মোঃ আনোয়ার মিয়া(২৩), পিতা মৃতঃ ময়না মিয়া গং ৩/৪ জন
উভয় গ্রামঃ আমের তল পোঃ দয়ার বাজার, উপজেলাঃ কোম্পানীগঞ্জ, জেলাঃ সিলেট -এর দীর্ঘ দিন থেকেই জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধ চলছে। মাহবুব আলম বলেন, “আমার পিতার মৃত্যুর পরপরই ওরা আমাদের জায়গা জমির ওপর নজর দিয়ে দখল করার চেষ্টা করে। তখন আমি এলাকার গণ্যমান্য সবাইকে অবগত করলে তাদের ভয়ে কেউ কথা বলেনি, কারণ তারা অত্র এলাকার লাঠিয়াল বাহিনী ও খুবই প্রভাবশালী। তাদের রয়েছে বিশাল বাহিনী, তারা অনৈতিক অপকর্ম জমি দখল, মাদক ব্যবসা, লুটপাট, খুনসহ সবকিছুর হোতা এবং
তাই তাদের ভয়ে এলাকার মানুষ কথা বলে না।
তখন আমি নিরুপায় হয়ে বিগত ১৩.১১.২০১৭ সালে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারায় ২৩/১৭ নং মামলা জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা রুজু করি দীর্ঘ মামলায় গত ২৭.০৩.২০১৯ সালে মাননীয় আদালত আমার পক্ষে রায় দেন।
এরপর তারা কিছুদিন নিরবতা পালন করে। এর কিছুদিন যেতে না যেতে আবার আমার ভাইয়ের কাছে দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। এঘটনা আমাকে আমার ভাই বলার পর আবারও এলাকার মুরুব্বিদের অবগত করার পরেও কোনো সূরাহ না পেয়ে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হই। অতঃপর তারা থানায় গিয়ে বলে যে তারা আর কখনোই এমন করবেনা। এমতাবস্থায় আমি অভিযোগ প্রত্যাহার করি।
এর দুই একমাস যেতেই সেই পূর্বের ন্যায় কার্যক্রম চালিয়ে আবার তারা আমার জমিজমা দখল করতে হামলা করে। তখন আমি নিরুপায় হয়ে আবার আদালতে আশ্রয় নেই। পরবর্তী আমি তাদের হাত থেকে রক্ষা পেতে স্হায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সহকারী জজ আদালতে স্বত্ব মোকদ্দমা ১১.০৪.১৯ সালে মামলা নং ৬৮/১৯ রুজু করি।
উক্ত মামলাটি দীর্ঘ সময় চলার পর গত ২৬.১০.২১ ইং মাননীয় সহকারী জজ আদালত আমার পক্ষে রায় দেন এবং সমূহ বিবাদীদের স্হায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন।
সে আলোকে তারা আবারও অল্প কয়েকদিন নিরবতা পালন করে।
উল্লেখ্য, মাননীয় সহকারী জজ আদালতে মামলা চলাকালীন সময়েও ১১.১১.২০২০ তারা আমার প্রাণনাশের উদ্দেশ্যেই রাস্তায় আক্রমণ করলে বিগত তারিখে আমি থানায় একটি জিডি করি, যার নং ৬৪৮ তারিখ ১৩.১১.২০২০, যাহা পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে সত্যতা নিশ্চিত হয়েই প্রসিকিউশন নং ২১/২০২০ তারিখ ১৬.১১.২০২০ ধারা ১০৭/১১৪/১১৭(সি) প্রেরণ করেন মাননীয় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে যাহা বর্তমানে চলমান।
এমন অবস্থায় আমার জমিতে কাজ করতে গেলে পুনরায় তারা এসে বলে আমাদেরকে আমাদের দাবীকৃত চাঁদা না দেয়া পর্যন্ত এই জমিতে কাজ কর্ম করতে পারবেনা এবং তারা দেশীয় অস্ত্র সশস্ত্র নিয়ে এমনকি ভারি অস্ত্র রামদা নিয়ে প্রাণনাশের উদ্দেশ্য হামলা চালায়।
গত ২২.০৮.২২ ইং সোমবার অনুমান সকাল ১০.৩০ বা ১১.০০ ঘটিকায় আমার বাড়ীর পাশাপাশি দক্ষিণ সাইটে আমার নিজ আমন রকম জমিতে চাষাবাদ করার সময় তারা এই হামলাটি চালায়। তখন আশপাশের মানুষ এসে আমাকে ও আমার ভাইয়ের পরিবারের লোকজনকে রক্ষা করে।
আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যদের জানমাল রক্ষাসহ বিভিন্ন রকমের হয়রানি, নির্যাতন, নিপীড়ন, হামলা, মামলার শিকার।
আমি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং দেশে মিডিয়াকর্মীসহ দেশের সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এদের হাত থেকে আমাদের বাঁচান আমরা বাঁচতে চাই। দেশবাসীসহ সবার কাছে আমি বিচারপ্রার্থী। আমরা অসহায় নিরীহ নির্যাতিত নিপিড়ীত নির্যাতনের শিকার। আমরা দেশে প্রশাসন, গণমাধ্যম সমাজসহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা ন্যায় বিচারপ্রার্থী।