ডেস্ক রিপোর্ট :
গতকাল রাত আনুমানিক ২.৩০ সময় নসু হাওলাদারের ছেলে রিয়াজের দোকানে অগ্নিকাণ্ড ঘটে।ঐ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে আনুমানিক ৯ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়।উত্তর দিঘলদী খুশিয়া গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের রিয়াজের মুদি ও ষ্টেশনারী, কসমেটিক,হার্ডওয়ার,বিকাশ,রকেট, তৈল,গ্যাস, ফ্রিজ, মোবাইল ও নগদ টাকা সহ ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠানটি আগুনে পুড়ে তার স্বপ্ন নিঃশেষ হয়ে যায়। রিয়াজ হাওলাদার জানান রাত ১০ টায় দোকান বন্ধ করে সে তার শশুর বাড়ীতে যায়,রাত অনুমান ২.৩০মিঃ তার দোকানের পাশের বাড়ীর মহিলা তাকে ফোনে আগুন লাগার কথা জানায়,তিনি সংবাদ পেয়ে প্রতিবেশীদের ফোন দিলে এলাকার লোকজন আগুন নিভানোর জন্য ছুটে আসলেও শাটার বন্ধ থাকায় আগুন নিভাতে না পেরে ভোলা ফায়ার সার্ভিসকে ৪.১৫মিঃ-ফোন দেয় ,ফোন পেয়ে ষ্টেশন অফিসার মোঃ সুমন সহ দমকল বাহিনীর ৭জনের একটি টিম ৪.৪৫মিঃ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় ১ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে অানতে সক্ষম হয়,তবে ততক্ষণে পোড়ার পর দোকানের কিছুই উদ্ধার করা যায়নি,স্হানীয়রা থানায় জানালে এস,আই,কাজল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন,আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে প্রত্যক্ষ কোন তথ্য জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক বা অন্য কোন উপায়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে।তবে অগ্নিকাণ্ড বিষয়ে সরাসরি কারো সম্পৃক্ততা আছে বলে তা সুনির্দিষ্ট করে কেউ কিছু বলতে পারে না।ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মালিক রিয়াজ হাওলাদার সন্দেহ জনক ভাবে দাবী করেন তিনি ৭.৮.৯নং ওয়ার্ডের মহিলা প্রার্থী আয়েশা বেগমের মাইক মার্কার প্রার্থী ফজলুর রহমান ও ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী বশির মাতাব্বরের সমর্থকরা ঘটনাটি ঘটাতে পারে বলে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন।
প্রতিপক্ষ ফজলুর রহমান ও বশির মাতাব্বর মুঠোফোনে জানান, সবাই আমাদের দল করবে এমন হতে পারেনা, আর রিয়াজ একজনকে সমর্থন করতে পারে,সে তো প্রার্থী নয়,তার সাথে আমাদের কোন বিরোধ নেই।তারা আরও বলেন কেউ হয়তো তাদের নিজস্ব স্বার্থ হাসিল করার জন্য রাতের অন্ধকারে এ ঘটনা ঘটাতে পারে। তবে যথাযথ প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে সুষ্ঠ তদন্ত করে সত্য উদঘাটন করলে সত্যিকার ঘটনাটি বের হয়ে যাবে। হয়তো রিয়াজ কে আমাদের প্রতিপক্ষ ভুল বুঝাইয়া আমাদের কে হেয় প্রতিপন্নসহ এবং নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করার পায়তারা করছে।