মাহবুব আলম মানিক :
ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিনে সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা ও জাতীয় দৈনিক চিত্র পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক উলফৎ জাহান মিলি সিকদার কে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলায় ফাঁসিয়ে
হয়রানির অভিযোগ উঠেছে বোরহান উদ্দিন থানার এস আই সাদ্দামের হোসেনের বিরুদ্ধে।
সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে টাকা আত্মসাৎ ও ঘুষ সংক্রান্ত বিষয়ে সত্য সংবাদ প্রকাশ করাই, এসআই সাদ্দাম সাংবাদিক মিলি সিকদারের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে হয়রানির করতেছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক মিলি সিকদার।
সাংবাদিক মিলি সিকদার মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলার বিবৃতি দিয়ে বলেন, আমি উলফৎ জাহান মিলি সিকদার, সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা ও জাতীয় দৈনিক চিত্র পত্রিকার ভোলা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত আছি এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে আসছি।
কিন্তু গত কয়েক মাস যাবৎ ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন থানার কাচিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে,
সাবেক ওসি শাহিন ফকিরের নেতৃত্বে একাধিক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ও জ্বীন প্রতারণা মামলার আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় কাচিয়া ইউনিয়নের বিট অফিসার ও বোরহান উদ্দিন থানায় কর্মরত পুলিশের এস আই সাদ্দাম হোসেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অজান্তে ৬ নং ওয়ার্ড ফুল কাচিয়া মুনাব মিস্ত্রির বাড়িতে আনুমানিক রাত দুইটায় পুলিশ পরিচয়ে দরজা নক করে ভিতরে প্রবেশ করে।
এবং জ্বীনের বাদশা প্রতারক চক্রের স্বক্রিয় সদস্য আখ্যা দিয়ে মুনাব মিস্ত্রির ছেলে মাইনুদ্দিন কে গ্রেফতার করে রাতের আধারে গোলপার নামক একটি স্থানে নিয় জোরপূর্বক ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে ছেড়ে দেয়।
তারপর দিন বিষয়টি জানা জানি হলে আমি সংবাদ প্রকাশের তথ্য সংগ্রহ করি এবং ঘটনার সত্যতা জানতে থানায় যাই। এর আগে ভুক্তভোগী মাইনুদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী আরজু বেগম আমার কাছে একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার দিয়ে এসআই সাদ্দাম হোসেনের ৬০ হাজার টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়টি স্বীকারোক্তি দেন তারা ।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে বোরহান উদ্দিন থানার ওসি তদন্ত মামুন সাহেব ও সেকেন্ড অফিসার মাহফুজ সাহেবের কাছে ঘটনার বিষয়ে তারা অবগত আছেন কি না জানতে চাইলে আমাকে বিষয়টি নিয়ে বারাবাড়ি করতে নিষেধ করেন।
তা সত্বেও আমি সংবাদ টি প্রকাশ করলে এসআই সাদ্দাম হোসেন আমার সাথে কথা বলবেন বলে ডেকে নিয়ে এসে আমার কাছ থাকা আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি আছার মেরে ভেঙ্গে ফেলেন যাতে কোনরকম প্রমান না থাকে।
এ বিষয়ে আমি থানার ওসিকে জানালে তিনি এস আই সাদ্দামকে মৌখিক সতর্ক করেন এবং আমাকে মামলা থেকে বিরত থাকতে বলেন । আমি মামলা করলে আমার নামে দেশের বিভিন্ন থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেন ।
এই ঘটনার কয়েক দিন পরেই শুনি বিজ্ঞ আদালতে আমার নামে একটি চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে এবং ওয়ারেন্টও হয়েছে সেই সাথে মামলার তদন্ত অফিসার এস আই সাদ্দাম হোসেন নিজেই।এবং আমাকে কোনকিছু না জানিয়ে তিনি চার্জশিটও দাখিল করেছেন আদালতে। তবে কোন প্রকার আইনি নোটিশ ছাড়াই কি ভাবে একজন ব্যাক্তির নামে ওয়ারেন্ট জারি হয় এটা আমার বোধগম্য নয়।
কিন্তু চাঁদাবাজি নামক গায়েবি মামলাটির সমস্ত কলকাঠি নেড়েছেন এস আই সাদ্দাম হোসেন। যার একাধিক প্রমাণ আমার হাতে এসেছে।
আমি এমন মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাচ্ছি সেই আমি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল সহ কয়েকটি প্রশাসনিক দপ্তরে সঠিক ও সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে এস আই সাদ্দাম হোসেন বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য স্মারকলিপি প্রদান করেছি।