বাহাদুর চৌধুরী :
সাদা মনের মানুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল্লাহ রতন চেয়ারম্যানের একখানা চিঠি ঢাকা ডিসি হতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, বিষয়টি মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী, গুরুত্বসহকারে পদক্ষেপ নিবেন বলে মনে করছেন দৌলতখাঁন উপজেলার জাতির পিতা স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ওবায়দুল্লাহ্ রতন চেয়ারম্যান,
স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছাত্র জীবনের বন্ধু মরহুম মোঃ ইছমত উল্লাহ'র পুএ, ভোলা জেলার মেয়র মনিরুজ্জামান এর শশুর, তিনবারের সফল চেয়ারম্যান , জাতির পিতা স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা,পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ বিশিষ্ট সমাজসেবক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি মোঃ ওবায়দুল্লাহ রতন চেয়ারম্যান এর ঐতিহাসিক কিছু কথা তুলে ধরা হলো ,১৯৭০ সালে,বন্যা জলোচ্ছ্বাসে ৩০জন নর-নারী মৃত্যুবরণ করেছিলেন ইছমত উল্লহ মুন্সির বাড়িতে,। উক্ত খবর পেয়ে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভোলা জেলার দৌলতখাঁন থানায় বন্ধুর বাড়িতে সমবেদনা জানাতে আসেন এবং বঙ্গবন্ধুর শরীরের চাদরখানা রতন চেয়ারম্যান এর পিতার গায়ে পড়িয়ে দেন,উক্ত চাদরের স্মৃতি বুকে নিয়ে ১৯৭১সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধের এই সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি ওবায়দুল্লাহ রতন চেয়ারম্যান,। দেশ স্বাধীনের পর শেখ কামালের আহবানে ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দেন
সেন্ট্রাল কলেজের মুজিব বাদী ছাএ লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করেন।
বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে হত্যার পর, অত্যাচারে,হামলা,মামলায় নির্যাতনের কারনে
ভারত সহ বিভিন্ন দেশে পলাতক জীবন কাটাতে হয় ৮/৯ টি বছর,
১৯৮৩ সালে পুনরায় জাপান থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং দৌলতখাঁন থানা হাজীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা কার্যকরী কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর তিনবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বিপুল ভোটে এবং শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে বিদেশে শিক্ষা সফর করে আসেন,।এই সাদা মনের মানুষটির বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ও বিশাল জন-সমর্থন থাকা সত্বেও তখনকার নেতারা তাহাকে ভাল কোন পদ দিতেন না,এটি ছিল তার জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃখ। এই বীর মুক্তিযোদ্ধা দীর্ঘ বারোটি বছর ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে সরাসরি দেখা করতে ৪১ বার দরখাস্ত দিয়ে ব্যর্থ হন প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের। একটি কুচক্র মহল এর কারণে, তাই এই সাদা মনের মানুষ বীর মুক্তিযুদ্ধা মুন্সি ওবায়দুল্লাহ রতন চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে অতি দুঃখের সাথে।