মোঃ ইমরুল আহসান :
মাহদীয়া জান্নাত মাহী ওরফে মানছুরা শুকরা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার নাম মাহদীয়া জান্নাত নীরা, নীরা জান্নাত কিংবা জান্নাত নীলা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক আইডি তার।
আইডি দিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্নজনকে টার্গেট করতেন। তারপর সুযোগ বুঝে শুরু করতেন ব্ল্যাকমেইল। দাবি করতেন মোটা অঙ্কের টাকা। আবার কারও কারও সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়িয়েছেন বিয়ে পর্যন্ত। পরে সাংসারিক ঝামেলার অজুহাতে চাইতেন ডিভোর্স। এভাবে দেনমোহরের নামে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা।
একটি জাতীয় দৈনিক খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের খাড়িয়ালা গ্রামের মো. সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে এ মানছুরা শুকরা।
অবশ্য এমন উচ্ছৃঙ্খল স্বভাবের কারণে তাকে ত্যাজ্য করেছেন পিতা।
নিজেকে পরিচয় দেন রাজধানীর উত্তর বাড্ডার মাদ্রাসা শিক্ষিকা হিসেবে। এরই মধ্যে একাধিক বিয়ে করেছেন। তবে তার উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরার কারণে কোনো সংসারই টেকেনি। বিয়ের পরপরই স্বামীকে তালাক দিয়ে দেনমোহরের টাকাসহ নানা কৌশলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই তার পেশা।
কেউ স্বেচ্ছায় না দিতে চাইলে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন। মামলা দিয়ে করেন হয়রানি। এমনকি স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অনশন এরপর মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে মীমাংসা। এসব নজিরও আছে এই তরুণীর বিরুদ্ধে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনকে ঢাল বানিয়ে কত নারী এমনভাবে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে তদন্ত করলে এমন অনেক কেস সামনে আসবে।