বিশেষ প্রতিনিধি :
মিথ্যা মামলা ও গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে দৈনিক সময়ের কন্ঠ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক সিনিয়র সাংবাদিক ও আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সম্মানিত আহবায়ক মোঃ কামাল হোসেন।
বুধবার (১৮ই মে) বলিভদ্র বাজারে এক সাংবাদিক সম্মলনে তিনি জানান, আমার পল্লীবিদুৎ এর ৬তলা বাড়ীর চার তলায় মাসে ১০,০০০(দশ হাজার) টাকার বিনিময়ে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতো মাইনুল ইসলাম নামে এক সাংবাদিক। বিগত ২০২০ইং সালের জুলাই মাসে হটাৎ একদিন রাতের বেলা আমার বাসায় পুলিশের ডাকে ঘুমভাঙ্গে, ঘুম থেকে জেগে উঠার পর দেখি আশুলিয়া থানা পুলিশ ভোলায় চাকুরী স্থায়ীকরনে কথা বলে প্রায় ৭০ লাখ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে মাইনুল(৪৫) ও তার স্ত্রী রোখসানা(৪০)-সহ চারজনের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ভোলায়,ভোলার পুলিশ আশুলিয়া থানা পুলিশের সহয়তায় মাইনুল ও তার স্ত্রী কে গ্রেফতার করতে এসেছে।
সে সময় মাইনুলের স্ত্রী রোখসানার বুকের দুধপান করা ছোট দুটি বাচ্চার জন্য পুলিশের নিকট নানা অনুনয় বিনয় আর অনুরোধ করে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাকে গ্রেফতার না করতে অনুরোধ করি। পুলিশ আমার অনুরোধ শুনে মাইনুল কে নিয়ে চলে যায়। তার একদিন পর বাসায় তালা মেরে মাইনুলের স্ত্রী রোকসানাও লাপাত্তা হয়ে যায়। এবং লাপাত্তা হবার পর আমার সাথে সব রকম যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমি ব্যাংক থেকে টাকা ঋণ নিয়ে বাড়ি করেছি আমাকে প্রতিমাসে ঋণের কিস্তির টাকা শোধ করতে হয়, যা আমি প্রতিটি ভাড়া ফ্লাট থেকে আদায়কৃত অর্থ থেকে দেই। কিন্তু তাদের অনুপস্থিতিতে আমি পড়ে যাই চরম বিপাকে। এরই মাঝে একদিন জানতে পারি মাইনুলে আর একটি সংসার রয়েছে, এবং আমার বাসায় ভাড়া থাকা রোখসানা মাইনুলের দ্বিতীয় স্ত্রী। পরে বড় বউ তার ছেলে মেয়ে নিয়ে আমার বাসায় এসে কান্না কাটি করে এবং বিষয়টি খুলে বলে এবং বাসায় থাকা মালামাল গুলো নিয়ে যেতে চায়। আমি দিতে অস্বীকৃতি জানাই, এবং রোখসানার বড় ভাই কে মোবাইলে কল দিয়ে বাসার মালামাল নিতে বলি, সে তার বোনের আচার অচরণ খারাপ জানিয়ে তার বাসার মালামাল নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে আমি আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। এবং সেই অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা
এবং মাইনুলের প্রথম বউ মালামাল নিতে চাইলে আমি পর্যপ্ত ডকুমেন্টস রেখে দিয়ে দিতে বলে।
আমি তাদের মালামাল দেয়ার পর্যপ্ত পরিমান ডকুমেন্ট রেখে মালামাল দিয়ে দেই।
কিন্তু অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় দীর্ঘ দু বছর পর মাইনুলে দ্বিতীয় স্ত্রী গত ১২-৫-২২ইং তারিখে শাহ আলম ওরফে চান্দার প্রোরচনায় আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। এ চুরির মামলায় সে তার সতীন মাইনুলের প্রথম স্ত্রী ও তার ছেলে এবং রোকসানার আপন ভাই ও ভোলার চরফ্যাসন থানায় বসবাসরত যাদের চাকুরী স্থায়ী করনের কথা বলে টাকা এনেছিল তাদের আসামী করেছে। এই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট আমি এই এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ওপ্রতিবাদ জানাই। এছাড়াও গত ১৫-৫-২০২২ইং তারিখে ঐ মিথ্যা মামলার এত আসামী থাকার পরেও শুধু আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে আমার মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক ভিডিও ও অনলাইন পোর্টালে ডাহা মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে, যার প্রতিবাদে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন।
আমি মানবিক দিক বিবেচনা করে মাইনুলের ৫ মাসের ভাড়া ৫০হাজার টাকা মাফ করে দিলাম বাসার মালামাল তার বউ কে দিয়ে দিলাম আর তারা উল্টো আমার নামে মিথ্যা মালামাল কি চুরির মামলা দিলো?
এটাই কি জাতির বিবেক? এটাই কি আমার মানবিকতার পুরস্কার?
মাইনুল ও তার স্ত্রীর অপকর্ম নিয়ে গত ৬-৭- ২০২০ তারিখের দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় "কোটি টাকার ঘুষ বানিজ্য" শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
আমি আশাবাদী আপনারা আমার সহকর্মী হিসেবে সত্যটুকু তুলে ধরবেন। আমি এহেন মিথ্যার বিরুদ্ধে শীগ্রই আদালতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করবো।